পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনবাণী ১৩৩৮ সনে আশ্বিন মাসে প্রকাশিত "বনবাণী’র ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ এই সৎস্বরূপ যে প্রাণ-স্পন্দনেরই একটা স্বরূপ এই কথা স্বীকার কোরে দুটাে মতের মধ্যে একটা সেতু নিৰ্ম্মাণ কোরেছেন । এই ভাবটাও বের্গসঁর মধ্যে দেখা যায়। ম্পন্দকেই একমাত্র সত্য বোলে স্বীকার কোরেই তিনি বলেছেন যে এই স্পন্দ স্বরূপের যে অস্তঃস্পর্শ সেটা হোচ্ছে একটা অখণ্ড স্থায়িত বা Dura । রবীন্দ্রনাথ বনবাণীতে বলছেন, “আরণ্যক ঋষি শুনতে পেয়েছিলেন গাছের বাণী, “বৃক্ষইব স্তব্ধো দ্বিবি তিষ্ঠত্যেক”, শুনেছিলেন “যদিদংকিঞ্চসৰ্ব্বং প্রাণএজতি নিঃস্থতং” । তারা গাছে গাছে চিরযুগের এই প্রশ্নটি পেয়েছিলেন “কেন প্রাণ; প্রথমং প্রৈতিযুক্তঃ” । প্রথম প্রাণ তার বেগ নিয়ে কোথা থেকে এসেছে এই বিশ্বে ? সেই প্রৈতি সেই বেগ থামতে চায় না, রূপের ঝরণা অহরহঃ ঝরতে লাগলো, তার কত রেখা, কত ভঙ্গী, কত ভাষা, কত বেদনা ! সেই প্রথম প্রাণ-প্রৈতির নব নবেন্মেষশালিনী স্বষ্টির চিরপ্রবাহকে নিজের মধ্যে গভীরভাবে বিশুদ্ধভাবে অনুভব করার মহামুক্তি আর কোথায় আছে ?” বের্গসর ভাষায় বোলতে গেলে এটি Czfū; Elan vital এই ভূমিকারই আর এক জায়গায় তিনি বোলছেন “এই গাছগুলো বিশ্ববাউলের একতারা, ওদের মজ্জায় মজ্জায় সরল মুরের র্কাপন, ওদের ডালে ডালে পাতায় পাতায় একতার ছন্দের নাচন, যদি নিস্তব্ধ হোয়ে প্রাণ দিয়ে শুনি তা হ’লে অস্তরের মধ্যে মুক্তির বাণী এসে লাগে, মুক্তি সেই বিরাট প্রাণসমুদ্রের কুলে যেসমুদ্রের উপরের তলায় মুন্দরের লীলা রঙে রঙে তরঙ্গিত আর গভীর তলে শাস্তম্ শিবম্ অদ্বৈতম। সেই স্বন্দরের লীলায় লালসা নেই, জড়তা নেই, কেবল পরমাশক্তির নিঃশেষ আনন্দের আন্দোলন। “এতস্তৈাব আনন্দস্ত মাত্রাণি” দেখি ফুলে ফলে পল্লবে ; তাতেই মুক্তির স্বাদ পাই, প্রাণের সঙ্গে প্রাণের নিৰ্ম্মল অবাধ মিলনের বাণী শুনি।” SQ