পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

る。8 রবি-দীপিতা একদিক দিয়ে দেখতে গেলে রবীন্দ্রনাথ তার পুরাণো উপনিষদের সংস্কারকে নূতন দৃষ্টির আলোতে পরিবর্তিত কোরে দেখেছেন। উপনিষদ যেখানে বলেছেন “আনন্দরূপং অমৃতং যদ্বিভাতি” কিম্বা “আনন্দান্ধেব খলু ইমানি ভূতানি জায়ন্তে যেন যাতানি জীবস্তি যং প্রয়োস্তি অভিসংবিশন্তি তদ ব্রহ্ম।” সেই আনন্দকেই উপনিষদ সংম্বরূপ বোলে বর্ণনা কোরেছেন কিন্তু এখানে রবীন্দ্রনাথ এই কথাই বোলতে চেষ্টা কোরেছেন যে শক্তির যে স্পন্দরূপ, প্রবাহে প্রবাহে নানা লীলায় ঝরে পড়ছে তারই আদিম স্বরূপ হচ্ছে পরমাশক্তির নিস্তব্ধ আনন্দরূপ । স্তব্ধতা ও ম্পদের মধ্যে যথার্থ কোন পার্থক্য নেই। স্পন্দের পরমার্থ স্বরূপই হোচ্ছে একটি আনন্দের অদ্বৈততা, গাছ যেমন নানা স্পদের মধ্যে আপনার জীবনকে প্রবাহিত কোরে দিয়েও স্তব্ধ ও অচঞ্চল হোয়ে রয়েছে তেমনি বিশ্বপ্রবাহের পরমার্থ সত্যও পরমশক্তিময় বলেই তার সমস্ত শক্তিকে নিজের মধ্যে সংহত কোরে আনন্দের চরমরূপে স্থির হোয়ে রয়েছে । কিন্তু রবীন্দ্রনাথের এই দৃষ্টিভঙ্গীকে একেবারে আকস্মিক বোলে বলা যায় না। তার পিতা দেবেন্দ্রনাথের সঙ্গে এইখানেই তার বোধ হয় পার্থক্য ছিল যে তিনি জগতের অন্তরালবৰ্ত্তী পরমার্থ সত্যকে একান্তভাবে স্থির বোলে মনে করেননি, তিনি মনে কোরতেন যে আমাদের অন্তর লোকে যে পরম সত্য আপনাকে নানা স্বষ্টি লীণর মধ্যে প্রকাশ কোরছে সেই শক্তিই বহির্লোকে নানা লীলায় সুন্দরের বিচিত্ররূপকে স্বাক্ট কোরে আমাদের মন হরণ কোরছে এবং এইজন্যই আমাদের Personality3 Hz; ficową riqrt{Hzējā (H 4+Êi wstąH Personality রয়েছে এই উভয়ের ঐক্যকে উপলব্ধি কোরতে পেরেছিলেন। কিন্তু একথা বোলতেই হবে যে বনবাণীব ভূমিকা লিখতে গিয়ে কবি একটা মানসিক দ্বন্দ্বে পড়েছিলেন। উপনিষদের একটি পংক্তি "কেন প্রাণপ্ৰথমং প্রৈতিযুক্ত:” অর্থাৎ কারদ্বারা যুক্ত হোয়ে, কারদ্বারা প্রেরিত হোয়ে প্রাণ প্রবহমান হোয়েছে । কিন্তু পরের প্যারাতেই তিনি এই “প্রেরকের” অংশ এই “কেন”র অংশ বা অস্তিত্ব একেবারে বাদ দিয়ে প্রৈতি এই ক্রিয়াপদকে বিশেষ্যরূপে ব্যবহার