পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনবাণী ఫి(t কোরে প্রেরণাকেই আদিস্থান দিয়েছেন। ষে প্রেরণা কোরছে তাকে নিঃশব্দে উল্লঙ্ঘন কোরে গিয়েছেন। তবেই এখানে একথা বলা যায় যে পূৰ্ব্বজীবনে জগতের “প্রেরক”রূপে যাকে দেখতেন তাকে বলাকার পরবর্তী যুগে নিছক প্রেরণারূপে, প্রৈতিরূপে দেখতে আরম্ভ কোরেছিলেন ; যদিও কোন কোন কবিতায় হঠাৎ এই “প্রেরক”ও মধ্যে মধ্যে মধ্যে উকিঝুকি মেরেছে। বনবাণীর “বৃক্ষবন্দনা” কবিতাটীতে রবীন্দ্রনাথ এই কথাই বলতে চেয়েছেন যে তরুলোকের মধ্যেই প্রাণের প্রথম প্রকাশ তাই তরুকে দিয়েই পৃথিবীর আত্মমৰ্য্যাদার গৌরব। ক্রমবিকাশের ধারায় এই তরুলোক বহুমুত্যুকে অতিক্রম কোরে নব নব সৃষ্টির মধ্যে আপনাকে প্রকাশ করেছে । “যে-জীবন মরণ তোরণ দ্বার বারংবার করে উত্তরণ যাত্রা করে যুগে যুগে অনন্তকালের তীর্থপথে নব নব পান্থশালে বিচিত্র নূতন দেহরথে, তাহারি বিজয়ধ্বজা উড়াইলে নিঃশঙ্ক গৌরবে অজ্ঞাতের সম্মুখে দাড়ায়ে!” তরুলোকের আবির্ভাবেই আমরা প্রাণলোকের বিজয় ঘোষণার প্রথম পরিচয় পাই। তরুলোক একদিকে যেমন স্বন্দরের প্রাণমূৰ্ত্তিখানি মৃত্তিকার মূৰ্বপটে আঁকতে গিয়ে সূর্য্যলোক থেকে আপন প্রাণের রূপশক্তি আহরণ করে এবং আলোকের গুপ্তধন নানাবণের মধ্যে অনুরঞ্জিত করে, তরু-লোক যেমন মেঘলোক থেকে বর্ষাবারি আহরণ কোরে যৌবনের অমৃতরসে আপনাকে পূর্ণ করে, আপনার পত্রপুষ্পপুটে বমুন্ধরাকে অনন্তযৌবনা কোরে সজ্জিত করে ; তেমনি সে থাকে নিস্তব্ধ, গম্ভীর, আপনার ধৈর্য্য বীৰ্য্যকে আবদ্ধ কোরে শক্তির শাস্তিরূপকে প্রকাশ করে। তরু যে স্বৰ্য্যের জ্যোতি থেকে শক্তিগ্রহণ কোরে সেই শক্তির তপস্তায় নূতন স্বাক্টতে আপনাকে শু্যামলক্কপে প্রকাশ করে এই কথাটী বনবাণীর নানা কবিতায় ধ্বনিত হোয়েছে ।