পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কড়ি ও কোমল ༠༽ সুখশ্রমে আমি সখি শ্রাস্ত অতিশয় ; পড়েছে শিথিল হ’য়ে শিরার বন্ধন । অসহ কোমল ঠেকে কুসুম-শয়ন, কুসুম রেণুর সাথে হয়ে যাই লয়। স্বপনের জালে যেন পড়েছি জড়ায়ে যেন কোন অস্তাচলে সন্ধ্যাস্বপ্নময় রবির ছবির মত যেতেছি গড়ায়ে ; স্বদূরে মিলিয়া যায় নিখিল নিলয়। ডুবিতে ডুবিতে যেন মুখের সাগরে কোথাও না পাই ঠাই, শ্বাস রুদ্ধ হয়, পরাণ কাদিতে থাকে মৃত্তিকার তরে। এ যে সৌরভের বেড়া পাষাণের নয় কেমনে ভাঙ্গিতে হবে ভাবিয়া না পাই অসীম নিদ্রার ভরে পড়ে আছি তাই । অগ্নিময় পিণ্ড থেকে জগতের যে ক্রমবিকাশ হয়েছে তাতে যেমন স্তরের পর স্তর এসে ক্রমশঃ জমাট বেঁধে উঠেছে, কবির চিত্তের ক্রমবিকাশের মধ্যেও প্রাণের ক্রিয়া সেই একই রকমের । একটা যুগের প্রথম প্রকাশের থেকে, ক্রমশঃ সেইটিরই বিকাশ, স্ফুর্ত ও পরিণাম চলতে থাকে ; সেই যুগের যত বিচিত্র স্বষ্টি তা নিতান্তই সেই যুগের। তার ফুল ফল রঙ ঢঙ সমস্তই সেই যুগের অনন্যসাধারণ। ক্রমশ: একটি যুগের পূর্ণ অভিব্যক্তি সম্পন্ন হ’লে সেই যুগের সীমার মধ্যে যখন আর বৃদ্ধির অবকাশ পাওয়া যায় না, এবং নিজের বিবিধ বৈচিত্র্যময় বিলাসের মধ্যেও অনাগত বিকাশের অপরিস্ফুট বেদনায় যখন সমস্ত স্থষ্টি অভাবক্ষিগ্ন ও দীন হয়ে ওঠে তখন প্রাণশক্তির প্রবল অন্তরালোড়নে যে “বহু স্যাম উখিত হয় তার ফলেই আর একটি নূতন যুগের স্থষ্টি হয় ও তারপর সেই পরবর্তী যুগের মধ্যে নুতন স্তরের নানা বিচিত্র