পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSe রবি-দীপিত “তপোময় হিমান্ত্রির ব্রহ্মরন্ধ ভেদ করি চুপে বিপুল প্রাণের শিখা উচ্ছ্বসিল দেবদারুরূপে। সুৰ্য্যের যে-জ্যোতিমন্ত্র তপস্বীর নিত্য উচ্চারণ অস্তরের অন্ধকারে, পারিল না করিতে ধারণ সেই দীপ্ত রুদ্রবাণী,—তপস্যার স্বষ্টিশক্তিবলে সে বাণী ধরিল গুণমকায়া ; সবিতার সভাতলে করিল সাবিত্ৰী গান ; স্পন্দমান ছন্দের মৰ্ম্মরে ধরিত্রীর সামগাথা বিস্তারিল অন্তর অম্বরে ।” কোন কোন কবিতায় অস্তরের সহানুভূতিতে কবি তরুলোকের জীবনের সঙ্গে নিজের জীবনের ঐক্য অনুভব কোরেছেন। আম্রবন কবিতাটীতে এর একটী স্বন্দর পরিচয় পাওয়া যায় । “তব পথচ্ছায়া বাহি বঁাশরীতে যে বাজালো আজি মৰ্ম্মে মোর অশ্রুত রাগিণী, ওগো আম্রবন, তারি স্পশে রহি রহি আমারে হৃদয় উঠে বাজি,”— - চিনি তা’রে কিম্বা নাহি চিনি কে জানে কেমন ! অস্তরে অস্তরে তব যে-চঞ্চল রসের ব্যগ্রত। আপন অস্তরে তাহা বুঝি, - ওগো আম্রবন । তোমার প্রচ্ছন্ন মন আমারি মতন চাহে কথা— মঞ্জরীতে মুখরিয়া আনন্দের ঘন গৃঢ় ব্যথা ; অজানারে খুজি’ আমারি মতন আন্দোলন ॥