পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>冷bア রবি-দীপিতা প্রাণরসের ঐক্য অনুভব কোবে এবং এই বৃক্ষলোকের মধ্য দিয়ে যে অনাদি প্রাণলোক এই পৃথিবীকে বসে ও আনন্দে অভিষিক্ত কোবছে তা স্পষ্ট কোরে অনুভব কোবতে পাবতেন । সে আনন্দ এই সংগ্রহেব প্রত্যেকটি কবিতাব মধ্যে যেন দ্রাক্ষাবস পানেব মত্ততাব স্বচনা কোবছে । “তুমি স্বদূবেব দূতী, নৃত্তন এনেছে নীলমণি স্বচ্ছ নীলাম্ববসম নিৰ্ম্মল তোমাব কণ্ঠধ্বনি। যেন ইতিহাস জালে বাধা নহ দেশে কালে, যেন তুমি দৈববাণী বিচিত্র বিশ্বের মাঝখানে, পবিচয়হীন তব আবির্ভাব, কেন এ কে জানে।” কি শিল্পে কি সাহিত্যে তরুলতাব সহিত নিবিড পবিচয় এদেশে যেমন প্রকাশ পেয়েছে এবকম অন্য কোথাও পেয়েছে বলে মনে হয়না । আধুনিক evolution-বাদে তরুলতাব সঙ্গে আমাদেব একটা জৈব সম্বন্ধেব পবিচয় পাই । ক্রমবিকাশের নিম্নস্তবে তরুলতা ও উচ্চস্তবে আমবা । আমাদেব দেশে এই জৈব ক্রমবিকাশেব কোন খবব ছিল না, কিন্তু আমাদেব প্রাচীনেবা তরুলতাকে আমাদেবই মতন পঞ্চেস্ক্রিয়যুক্ত প্রাণী বলে মনে কবতেন। মহাভাবত, মনুসংহিতা প্রভৃতি গ্রন্থে এই মতেব উল্লেখ আছে। একজন মানুষও মৃত্যুব পবে কোন বৃক্ষ বা লতা হইয়া ভগ্নাইতে পাবে। পুবাণেব গল্পেব কথা মনে হয়, কোন অধ্যাপক অত্যন্ত পণ্ডিত হোষেও ছাত্রদের পড়াতে চাইতেন না, সেইজন্তে তিনি আমগাছ হোয়ে জন্মালেন কিন্তু সে গাছে কোন ফুল, ফল ধোবত না এবং পার্থীবা সেখানে বসত না । এই হোল র্তাব তরুজীবনেব শাস্তি। মনু বলেছেন “অস্তঃসংজ্ঞা ভবস্তেতে সুখ দুঃখ সমন্বিতা” অর্থাৎ বৃক্ষদেব অস্তবেব মধ্যে চৈতন্য আছে এবং তাহাবা সুখদুঃখ অনুভব কবিতে পারে। এইত গেল একদিকে ইউবোপীয় evolution মত । অপবদিকে আমাদের দেশের শাস্ত্রীয় মত। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ এই দুয়েব কোন কুলেই ভেড়েন নাই ; তিনি র্তাব