পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&е в রবি-দীপিত “শ্বেতভূজা ভারতীর বীণা তোমারে করেনি অভ্যর্থনা অলঙ্কার ঝঙ্কারিত কাব্যের মন্দিরে। তবু লেখা অবস্থান অবারিত, বিশ্বলক্ষ্মী কোরেছেন আমন্ত্রণ যে-প্রাঙ্গণ তলে প্রসাদ চিহ্নিত তার নিত্যকার অতিথির দলে । আমি কবি লজ্জা পাই কবির অন্যায় অধিকারে হে স্বনারী ! শাস্ত্রদৃষ্টি দিয়ে তারা দেখেছে তোমারে রসদৃষ্টি দিয়ে নহে ; শুভদৃষ্টি কোনো স্থলগনে ঘটিতে পারেনি তাই, ঔদাস্তের মোহ আবরণে রহিলে কুষ্ঠিত হোয়ে।” কুরচিকে তিনি মন ভোলাতে গিয়ে বলছেন যে এক সময় এমন ছিল যেদিন তার মঞ্জরীতে ইন্দ্রাণী সাজাতেন তার কবরী। অঞ্চারীদের মৃত্যলোল মণিবন্ধে কঙ্কনবন্ধনে কুরচি কুমুমের গুচ্ছ তালে তালে দোল খেয়ে ফিরত কিন্তু আজ কুরচির আর সে পদবী নেই। সকলেই ভুলে গেছে তার মহিমা, “ষে আত্ম বিস্তুত তুমি, ধরাতলে সত্য তব নাম”— “সকলেই ভুলে গেছে সে নাম প্রকাশ নাহি পায় চিকিৎসা শাস্ত্রের গ্রন্থে পণ্ডিতের পুথির পাতায় ; গ্রামের গাথার ছন্দে সে নাম হয়নি আজো লেখা, গানে পায় নাই স্বর।” প্রত্যেকটি গাছ সম্বন্ধে কবির যে অমুভবের বৈচিত্র্য প্রকাশ পেয়েছে তাতে বৃক্ষলোকের প্রত্যেকটি বৃক্ষকে যেন একটি স্বনির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বের মহিমায় মণ্ডিত কোরেছে। শাল সম্বন্ধে বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “অস্তরের নিগৃঢ় গভীরে ফুল ফুটাবার ধ্যানে নিবিষ্ট রয়েছে উৰ্দ্ধশিরে ; চৌদিকের চঞ্চলতা পশে না যেথায় ।