পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনবাণী ९e S অন্ধকারে নিঃসঙ্গ স্বষ্টির মন্ত্র নাড়ী বেয়ে শাখায় সঞ্চারে।” আবার বলছেন, “আকাশেরে দাও সঙ্গ বর্ণরঙ্গে শাখার ভঙ্গীতে, বাতাসেরে দাও মৈত্রী পল্লবের মৰ্ম্মর সঙ্গীতে ; মঞ্জরীর গন্ধের গণ্ডুষে।” যুগে যুগে কতকাল কত পথিক এসেছে, আর ছায়াতলে বসেছে রাখাল ; শাখায় পার্থীরা বেঁধেছে নীড় ; তারা সকলে আসন্ন বিস্মৃতির পথে ভেসে গেছে ; খালি উদাসীন হোয়ে শাল রয়েছে দাড়ায়ে, অস্তিত্বের আবর্তনে দ্রুতবেগে অনিত্যের দিকে যারা ছুটে গেছে শাল যেন তাদের নিত্যের স্থত্রে মালা গেঁথে রেখেছে আপনার মধ্যে । “যৌবন তুফান লাগা সেদিনের কত নিদ্রা-ভাঙ্গ জ্যোৎস্না মুগ্ধ রজনীর সৌহার্দ্যের স্বধারস ধারা, তোমার ছায়ার মাঝে দেখা দিল হয়ে গেল সারা । গভীর আনন্দক্ষণ যতদিন তব:মঞ্জরীতে একান্ত মিশিয়াছিল একখানি অখণ্ড সঙ্গীতে আলোকে আলাপে হাস্তে, বনের চঞ্চল আন্দোলনে, বাতাসের উদাস নিশ্বাসে ;” সে সমস্ত পথিক আজ নেই। তাদের মুক্ত জীবন প্রবাহের আনন্দ-চঞ্চল গতি পূর্ণ করে রেখেছে নারিকেলের মঞ্জরী। ভবিষ্যতে আবার যারা যৌবনের আনন্দে বিভোর হয়ে আসবে শালের তলায় তাদের উৎসব রসের মদিরায় মত্ত হোয়ে তারাও যাবে ক্ষণিক বিভ্রমে দোলা নিয়ে। কিন্তু সেই পুরাতন কালের উৎসব যা অতীত হোয়ে গেছে দৃষ্টির পথ থেকে, যে উংসব সন্তার আজকে আমরা এনেছি শালের পর্ণবেদিকার তলে আর ভবিষ্যতের ষে উংসব এই