পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९०२ রবি-দীপিত শাল বৃক্ষের তলায় আসবে আনন্দে নৃত্য কোরে সে সমস্ত গিয়ে মিলিত হোচ্ছে মহাশাল বৃক্ষের ফোটাঝরার নিত্য গতিতে উৎসাহিত মঞ্জবীর মধ্যে। যেন শালের অন্তর-লোকের চেতনার মধ্যে সৰ্ব্বকালের সঙ্গীত রয়েছে বিধৃত হোয়ে । এমনি কোরে নূতন ও পুরাতনের মিলন হোচ্ছে মহাশালের স্মরণ-গ্রন্থিতে। মধুমঞ্জরী কবিতাটির একজায়গায় কবি বলছেন যে ভুবনে যে প্রাণ সীমা ছাড়িয়ে গ্রহ তারার মধ্যে সঞ্চার করে দিয়েছে আপনাকে সেই প্রাণেরই ধারা পল্লব-পুটে গ্রহণ কোরে মজ্জায় ভরে নিয়েছে মধুমঞ্জবী। বাতাসের সঙ্গে তার এমন নিবিড় যোগ যেন সে সেখানে পাচ্ছে তার মাতৃস্তন্তের আস্বাদ । এই কবিতাটির একজায়গায় কবি বলছেন, “যে-ইন্দ্রজাল দ্যুলোকে ভূলোকে ছাওয়া, বুকের ভিতর লাগে ওব তাবি হাওয়া,— বুঝিতে যে চাই কেমন সে ওর পাওয়া, চেয়ে থাকি অনিমিষ ॥ ফুলের গুচ্ছে আজি ও উচ্ছসিত, নিখিল-বাণীর রসের পরশামুত গোপনে গোপনে পেয়েছে অপরিমিত ধরিতে না পারে তারে ।” এমনি কোরে তরুলোকের হৃদয়ের মধ্যে অবাধ ভাবে কবির হৃদয় যে আনাগোনা করেছে তারি পরিচয় তিনি বেখে গেছেন তার বনবাণীর মধ্যে । পার্থীর প্রতি দরদ দেখিয়েও দুএকটি কবিতা এই সংগ্রহে স্থান পেয়েছে কিন্তু সৰ্ব্বত্রই এই স্বরট প্রধান হোয়ে উঠেছে যে বিশ্বময় প্রাণের যে লীলা চলেছে তার প্রত্যেকটী বিকাশের মধ্যে যে এক একটী বিশেষ ব্যক্তিত্ব আছে, এক একটা বিশেষ সার্থকতা আছে তা আমরা বুঝতে পারি আমাদের হৃদয়ের স্পর্শে। সেইখানেই এই কথাটা ধরা পড়ে যে বিশ্বের প্রাণ-প্রবাহের মধ্যে আমাদের