পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নটরাজ ঋতু রঙ্গশালা ২০৩ প্রাণ-প্রবাহ কি পরিচয় লাভ করেছে সে পরিচয় আমাদের পরিচয় ; তা যেন প্রাণ-সমূদ্র থেকে এক এক অঞ্জলি অমৃত-নিষেক । নটরাজ ঋতু রঙ্গশাল৷ এই বইখানি ১৩৩৪ সালের দোল পূর্ণিমাতে শাস্তিনিকেতনে অভিনীত হয় । এর ভেতরের কথাটি বলতে গিয়ে কবি বলেছেন—“নটরাজের তাণ্ডবে, তার এক পদক্ষেপের আঘাতে বহিরালোকে রূপলোক আগবৰ্ত্তিত হেয়ে প্রকাশ পায়, তার অন্য পদক্ষেপের আঘাতে অন্তরালের রসলোক উন্মেষিত হোতে থাকে, অন্তরে বাহিরে মহাকালের এই বিরাট নৃত্যছন্দে যোগ দিতে পারলে জগতে ও জীবনে অথণ্ড লীলারস উপলব্ধির আনন্দে মন বন্ধনমুক্ত হয়। নটরাজ পালা গানের এই মৰ্ম্ম ।” বিষ্ণু ধৰ্ম্মোত্তর পুরাণে লিখিত আছে ষে আদিকালে পৃথিবীতে কেবলমাত্র জলই ছিল । ব্রহ্মা যখন সৃষ্টি কার্য্যের জন্য আনিষ্ট হোলেন তখন তিনি হতবুদ্ধি হোলেন কেমন কোরে তিনি স্বষ্টি কোরবেন। উপদেশের জন্য তিনি বিষ্ণুর শরণাপন্ন হোলেন । বিষ্ণু দেখলেন যে স্বষ্টির মূল তথ্যটি না বুঝিয়ে দিলে ব্রহ্মা স্বষ্টি কোরতে সক্ষম হবেন না। তখন বিষ্ণু মহাসমুদ্রের ওপরে নৃত্য কোরতে লাগলেন, —উদ্বেগু এই যে সেই নৃত্যের ছন অনুসারে ব্রহ্মা কোরবেন তার স্বষ্টি। বিষ্ণুর নাচের মধ্যে স্তষ্টর রহস্তের সাক্ষাৎ পেয়ে ব্রহ্মা লেগে গেলেন র্তার স্বষ্টির কাজে । এই পৃথিবী গতিময়, গতির প্রকারের প্রধান জ্ঞাতব্যই হচ্ছে সেই গতির ছন্দ । গতির আপনার স্বরূপের মধ্যেই প্রচ্ছন্ন হোয়ে রয়েছে একটা সংযমেব বাধা, গতির প্রকাশ হোতে গেলেই এই অস্তনিহিত সংযমের বাধার সঙ্গে ঘটে তার দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্বের ফলেই গতির যে বিশেষ রূপটা লীলায়িত হয়ে ওঠে একটা বিশেষ নির্দিষ্ট প্রণালীতে সেইটিকেই বলা যায় ছন্দ । বের্গস স্থাঃ-তত্ত্ব বোঝাতে গিয়ে বলেছেন যে