পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sఅ8 রবি-দীপিতা Eian vitalকে বা গতিম্পন্দকে জড়ের সঙ্গে সঙ্ঘাতে একে বেঁকে চলতে হয়েছে। গতির এই আঁকা বাকাটাই হোল গতির ছন্দ এবং প্রত্যেক বঁাকে বঁাকে আমরা নূতন নুতন পৰ্য্যায়ের প্রাণ দেখতে পাই। এইখানেই হচ্ছে বেগপ'র সঙ্গে Darwinএর evolutionবাদের পার্থক্য। রবীন্দ্রনাথ বলছেন যে নটরাজের নৃত্যের ছন্দে একদিকে প্রকাশ পেয়েছে বহিলোক অার একদিকে প্রকাশ পেয়েছে অস্তর্লোক। নাচের উপমায় স্বষ্টিতত্ত্বকে বুঝতে যাওয়ার একটা বৈশিষ্ট্য আছে। বিশ্ব যে গতিময়, স্পন্দময় এই ভাবটী ক্রমশ: রবীন্দ্রনাথকে আচ্ছন্ন কোরেছিল, তার পূর্বের ভাব ছিল যে একটি স্বষ্টিময় পুরুষ ভিতরে ও বাহিরে তার আনন্দের উৎফুল্লতায় স্বষ্টি কোরে চলেছেন ; নিজেকে ব্যাপ্ত কোরে চলেছেন স্বষ্টির মধ্য দিয়ে, অরূপ যিনি তিনি রূপের সীমানার মধ্য দিয়ে অজস্রভাবে নিজেকে প্রকাশ কোরে চলেছেন, এই প্রকাশের মহিমাতেই এই অরূপ পুরুষের মহত্ব, এইটিই হোচ্ছে সীমার মধ্যে অসীমের প্রকাশ । নাচের উপমাটিতে জগতের সৌন্দর্য্যের দিকটি পরিস্ফূর্তভাবে প্রকাশ করবার চেষ্টা হোয়েছে, তাছাড়া এই গতি বা ম্পদের দিকূট রবীন্দ্রনাথের চিত্ত ক্রমশ: এমন কোরে অধিকার কোরে উঠছিল যে এর পরবর্তী স্তরে নটরাজকে বাদ দিয়ে শুধু তার মৃত্যটাতেই কাজ চলত, বলাকার চঞ্চল কবিতাট তার দৃষ্টান্ত। যদি স্পন্দই জগৎব্রুপে আপনাকে প্রকাশ কোরে থাকে তবে সেই স্পর্শের মধ্যে যে একটা সংযম আছে তা স্বীকার কোরতেই হয়। কারণ তা না হোলে জগতে law and order, নিয়ম এবং শৃঙ্খলা কিম্বা natureএর uniformity বা অব্যভিচারী ব্যবহার সম্ভব হোত না ; জগতে কাৰ্য্যকারণের কোন নিয়ম থাকত না । গতির মধ্যে একটা নির্দিষ্ট রকমের সংযম থাকাতে গতিটা পরিণত হোয়েছে ছন্দে, ছন্দ হোচ্ছে গতির একটা নির্দিষ্ট কাল । জগতে যাকিছু সুন্দর ও শোভন হয়ে প্রকাশ পেয়েছে তার মধ্যে আমরা দেখতে পাই যে স্পন্দময় জগৎ এক একটা নির্দিষ্ট ছন্দে, এক একটা নির্দিষ্ট ঋতুরূপে প্রকাশ পেয়েছে। ঋতুতেই ফোটে ফুল, তাই সংস্কৃতে ঋতু ও পুপ শব্দটি এক অর্থে ব্যবহৃত হোয়েছে। পুষ্পই হোচ্ছে স্বষ্টির symbol বা প্রতীক। স্বষ্টির মধ্যে