পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নটরাজ ঋতু রঙ্গশালা ఫిet একটা হোচ্ছে বাধনহারার দিক আর একটা হোচ্ছে বাধনের দিক। “বাধনহারা” হোল স্বচ্ছন্দ গতির দিক। আর বাধনের দিকটা হোল সংযমের দিক। স্বষ্টিতে একটা প্রকাশ হচ্ছে বটে কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ স্বচ্ছন্দ নয় । তার মধ্যে রয়েছে একটা নিবিড় নিয়মের বাধন। একটা প্রকাশ থেকে যখন আমরা অন্য প্রকাশে যাই তখন স্পন্দের প্রবাহ তার পূর্বের শৃঙ্খলা ত্যাগ কোরে আর একটা নূতন শৃঙ্খলাকে বরণ করে। এই যে একটাকে অনায়ালে ত্যাগ কোরতে পারে এইটাই হোচ্ছে স্বষ্টির মধ্যে বৈরাগ্যের দিক। এই চলেছিল পাতায় পাতায় নিজেকে ভরিয়ে তোলবার যুগ, এই আবার এল পাতা ঝরাবার যুগ, আবার এল মঞ্জরী ফোটাবার যুগ, পাতাকে অস্কুরিত কোরে তোলবার যুগ। এর প্রত্যেকটারই মধ্যে রয়েছে এক একটা ছন্দ বা বিশেষভাবে চলবার একটা ক্রম, অনবরত চলেছে ছন্দের পরিবর্তন ; এই পরিবর্তনের মধ্যেও রয়েছে একটা অখণ্ড ছন্দ, আবার প্রত্যেকটী ছন্দের মধ্যে রয়েছে একটি বিশেষ রকমের সংযম। এবং তার ফলেই প্রত্যেকটী ছন্দের মধ্যে একটি স্বতন্ত্রত, ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পেয়েছে। বাইরের জগতে যেমন এই লীলাবৈচিত্র্য চলেছে অস্তরের জগতে ভাবলোকের মধ্যেও তেমনি চলেছে এরই অনুরূপ লীলাবৈচিত্র্য। দুটো যেন parallel বা সমপ্রকাশ । একই নটরাজের দুইটী পদক্ষেপে দুইরকম গতিচ্ছন্দের প্রকাশ। এই গভীর ভাবটকে নাটকে কেমন কোরে প্রকাশ করা যায় তা আমরা বুঝতে পারি না, প্রকাশ হোয়েছে বলেও মনে হয় না। এই নাটকটির মধ্যে রবীন্দ্রনাথ বিভিন্ন ঋতুর আবির্ভাব, বিদায় গ্রহণ ও তিরোভাবের ও আবার আর একটি আবির্ভাবের পরিচয় দেবার একটা চেষ্টা করেছেন, কিন্তু এর সঙ্গে অস্তুর-লোকের যে লীলা-বৈচিত্র্য চলেছে তার কোন ছবি দেওয়া যে সম্ভব হেয়েছে তা মনে হয় না ! এই কথাটিই রবীন্দ্রনাথ তার ঋতুরঙ্গশালার প্রথম কবিতায় (মুক্তিতত্ত্ব ) আপন বিচিত্র ভঙ্গীতে প্রকাশ কোরতে চেষ্টা করেছেন, “দেখচি, ও যার অসীম বিত্ত স্বন্দর তার ত্যাগের নৃত্য