পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* , রবি-জীপিতা বিকাশ উদ্ভাসিত হ’য়ে ওঠে। এক একটি যুগের চিত্তের এক একটি স্তর ক্রমে পরিস্ফুট হতে থাকে, কাজেই সেই যুগে যত বিভিন্ন প্রকারের ভাবের উদ্ভব হয় সে সমস্তগুলিই একটা যুগের বিকাশ। যুগের বিকাশ বললেই সেই স্তরের চিত্তভূমির সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি ষে ধীরে ধীরে স্থপরিস্ফুট হ’তে থাকে তাই বুঝা যায়। মানুষের দিকে, চিত্তভাব যে ভাবে উন্মেষিত হ’তে থাকে, তাতেই কবির চিত্তভাবের সর্বাঙ্গীন বিকাশ বুঝা যায়। ক্রমশঃ যখন কোন যুগের চিত্তভাবের সীমা পূর্ণ করে তার স্বষ্টির আনন্দ ক্রমশঃ উদ্বেল হয়ে উঠতে চায় তখন স্বষ্টির সেই নূতন উদ্যমের সহিত পুরাতন বৃত্তিগুলির আর সে রকমের সামঞ্জস্য থাকে না ; নিজের পরিচিত হষ্টিব্যাপারে কবির অতৃপ্তি উপস্থিত হয়। বিরাগাত্মক বা অভাবাত্মক স্বভাবের দ্বারা পুরাতন স্বষ্টির দ্বারটি সহজেই অর্গলবদ্ধ হ’য়ে যায়, উদ্বেল প্রস্রবণ নিরুদ্ধ হয়। এই নিরোধের সঙ্গে সঙ্গেই প্রবল তপস্তায়, প্রলয়ের সঙ্গে সঙ্গেই একটি নূতন যুগের দ্বার উদঘাটিত হ’য়ে যায়, এবং তার মধ্যে কবির স্বষ্ট চরিত্রের একটি নূতন পরিণাম সংঘটিত হ’তে থাকে। রবীন্দ্রনাথের মধ্যে আমরা দেখতে পাই যে “সন্ধ্যাসঙ্গীত” থেকে যে যুগটি আরম্ভ হয় “প্রভাত সঙ্গীতে’র মধ্যে যার একটা অপরিস্ফুট পরিসমাপ্তি দেখা যায় সেই যুগেরই একটা বিকাশ “কড়ি ও কোমল” পৰ্য্যন্ত এসে পৌছেছে। সমস্ত প্রাণ দিয়ে কবি পার্থিব সৌন্দৰ্য্যকে ভালবেসেছিলেন, একদিকে পত্রপুষ্পফলশালিনী বসুন্ধর অপরদিকে বিশ্বাবিমোহিনী নারী। এই দুইটিতেই তার সমস্ত ইন্দ্রিয়কে আকৃষ্ট করেছে, বিভোর করেছে, মাতাল করেছে। সে এমনই পূর্ণতা যে র্তার মনে হচ্ছে যে এ পথ তার কাছে শেষ হয়ে গেছে, তাই তিনি তখন পূর্ণ হয়েও রিক্ত, সমাপ্তির শূন্যতায় দীন ও নিঃসম্বল। এতদিনের স্বষ্টি বিলোপ করবার জন্য তার রাজ্যের সিংহদ্বারে প্রলয়ের শিঙ্গা বেজে উঠেছে । কবি শ্রাস্ত হয়ে পড়েছেন, স্বষ্টিতে আর র্তার উৎসাহ নাই । এই যেমন একটা প্রলয়ের মূৰ্ত্তি এসে পূৰ্ব্ব স্বাক্টর ব্যাবৰ্ত্তক হয়ে দাড়িয়েছিল, তেমি আবার অপর দিক দিয়ে দেখতে গেলে, সেই ব্যাবর্তকতার মধ্যেই আমরা