পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১ • রবি-দীপিতা নব কেতকী-কেশর আছে লাগি । তাহারি ধ্যান পরাণে তব জাগি ॥” তারপরেই দেখছি নৃত্যুচ্ছন্দে গতি গেল বদলে, বর্ষার আবির্ভাব এল ঘনিয়ে ঃ “অকস্মাৎ কোমলের কমলমালার স্পর্শ লেগে শান্তের চিত্তের প্রাস্ত অহেতু উদ্বেগে ভ্ৰকুটিয়া ওঠে কালো মেঘে ; বিদ্যুৎ বিচ্ছুরি’ উঠে দিগন্তের ভালে, রোমাঞ্চ কম্পন লাগে অশ্বখের ক্রস্ত ডালে ডালে ; মুহূর্তে অম্বর-বক্ষে উলঙ্গিনী খামা বাজায় বৈশাখী-সন্ধ্যা ঝঞ্জার দামামা, দিগ্বিদিকে নৃত্য করে দুৰ্ব্বার ক্ৰন্দন, ছিন্ন ছিন্ন ত’য়ে যায় ঔদাসীন্য-কঠোর বন্ধন ॥” তার পরে পাই বর্ষা-বৰ্ণনের কতকগুলি কবিতা “তোমার ললাটে জটিল জটার ভার নেমে নেমে আজি পড়িছে বরিস্কার, বাদল আঁধার মাতালে তোমার হিয়া, বঁকা বিদ্যুৎ চোখে উঠে চমকিয়া ; চির-জনমের শু্যামলী তোমার প্রিয়া আজি এ বিরহ-দীপন-দীপিকা পাঠালো তোমারে এ কোন লিপিকা, লিখিল নিখিল-অধির কাজল দিয়া, চির-জীবনের শু্যামলী তোমার প্রিয়া ॥ কিন্তু এরি মধ্যে শ্রাবণ যেন বাতাসে কার আভাস পেয়েছে ; প্রথমেতে সে