পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२४२ রবি-দীপিত চপল করে হাসের দুটি পাথা ওড়ায় তারে দূরে। শিউলি কুঁড়ি যেমনি ফোটে শাখে অমনি তারে হঠাৎ ফিরে ডাকে, পথের বাণী পাগল করে তাকে, ধূলায় পড়ে ঝুরে । শরৎ ডাকে ঘর-ছাড়ানো ডাকা কাজ খোয়ানো মুরে ॥” আবার শরতের এল বিদায় নেবার পালা— “তোমার নয়নে এখনো রয়েছে হাসি, বাজায়ে সোহিনী এখনো মোহিনী বঁাশী ওঠে উচ্ছসি। এই তব আসা-যাওয়া একি খেয়ালের হাওয়া, মিলন-পুলক তাতেও কি অবহেলা, আজি বিরহ-ব্যথার বিষাদ এও কেবলি খেলা ?” শরতের বিদায়ে শেফালি ও পদ্ম লাগলো কঁদিতে । কাশের শিখ থরথর ক’রে উঠল কেঁপে। মালতী ফুল মলিন হয়ে পড়ল ঝরে, কিন্তু শরতের আর থাকবার জো নাই। এল হেমন্ত, হিমের ঘন ঘোমটায় তার নয়ন পড়েছে ঢাকা, কুয়াশাতে মলিন হোয়েছে সন্ধ্যা-প্রদীপ ; করুণবাম্পে পূর্ণ হোয়েছে বাতাস কিন্তু ধরার অাচল ভরে উঠল সোনার ধানে। এর পরে এল শীত— “জাগুক মন, কাপুক বন, উড়ুক ঝরা-পাত, হউক জয়, তোমারি জয়, তোমারি জয়-গাথা ।