পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

く>8 রবি-দীপিত পরে আসে বসস্তের নব গুঞ্জরণ । এই ভাবটী কবির মনকে বিশেষভাবে আন্দোলিত করে তুলত। ফাঙ্কনী নাটকে এবং আরও অনেক কবিতায় তিনি এই ভাবটী প্রকাশ করেছেন যে আমাদের জীবন মৃত্যুগুহার মধ্যে ক্ষণকাল অদৃপ্ত হোয়ে আবার নবীনকুপে আত্ম প্রকাশ করে – “ষাহা-কিছু মোর তুমি, ওগো চোর, হরিয়া ল’বে জেনো বারে বারে ফিরে ফিরে তা’রে ফিরাতে হবে । যা কিছু ধূলায় চাহিবে চুকাতে ধূলা সে কিছুতে নারিবে লুকাতে, নবীন করিয়া নবীনের হাতে সাপিবে কবে ।” কিন্তু শীতকেও বিদায় নিতে হোল। শীতের বিবর্ণ সজ্জা থেকে নগ্ন-তরুর শাখা পত্রে পত্রে হোল মুঞ্জরিত। নানা রঙের ফুল ফুটে উঠলো তার গায়ে। যে সম্পদ শীত নিয়েছিল হরণ কোরে, তার বহুগুণ এল বসস্তের দানে— “তোমার নিয়মে বিবর্ণ ছিল সজ্জা নগ্নতরুর শাখা পেতে তাই লজ্জা । তাহার আদেশে আজি নিখিলের বেশে নীল পীত রাঙা নানা রঙ ফিরে এসে, আকাশের অণথি ডুবাইবে রসাবেশে জাগাইবে মত্তত ” তারপরে এল বসন্ত, অনেকগুলি কবিত্তায় কবি বসন্তের বর্ণনা করেছেন, তার পরিচয় এই স্বল্প-পরিসর প্রবন্ধে দেওয়া অসম্ভব, তবু দুএকটী কবিতার কিয়দংশ উদ্ধৃত করছি :–