পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কড়ি ও কোমল S আর একটি নূতন স্বষ্টির বীজকে প্রত্যক্ষ করতে পারি। কবি একদিকে যেমন “অসীম নিদ্রার ভারে? আচ্ছন্ন হ’য়ে রয়েছেন অপরদিকে তেমনি বিশ্বমানবের জন্য কি একটা শেষ কথা পরিবেশন করবেন বলে, অস্তরের মধ্যে একটা নূতন বোধনার উপলব্ধি করছেন । তিনি একদিকে যেমন বুঝেছেন যে তার সে স্বষ্টি আর চলবে না, অপরদিকে আবার তেন্নি করে নব চৈতন্যের জন্য হুঙ্কার দিয়ে উঠছেন। সেই জন্যেই একদিকে যেমন ইন্দ্রিাচ্ছন্ন পরিচ্ছন্ন প্রেমের একটি লৌকিক বিগ্রহ দেখতে পেয়েছি, আবার তেমি অপরদিকে তার প্রাণস্বরূপ একটি নব চৈতন্তের উন্মেষও আমাদের চোখে পড়ে। একদিকে যেমন— এ মোহ কদিন থাকে, এ মায়া মিলায় । কিছুতে পারে না আর বঁাধিয়া রাখিতে । কোমল বাহুর ডোর ছিন্ন হয়ে যায়, মদিরা উথলে নাকে মদির অঁথিতে । কেহ কারে নাহি চিনে আঁধার নিশায় ফুল ফোটা সাঙ্গ হলে গাহে না পাখিতে । কোথা সেই হাসি প্রান্ত চুম্বন-তৃষিত রাঙ্গা পুষ্পটুকু যেন প্রস্ফুট অধর । কোথা কুমুমিত তনু পূর্ণ বিকশিত কম্পিত পুলক ভরে যৌবন কাতর। তথন কি মনে পড়ে সেই ব্যাকুলতা, সেই চির পিপাসিত যৌবনের কথা, সেই প্রাণ-পরিপূর্ণ মরণ অনল মনে পড়ে হাসি আসে ? চোখে আসে জল ? অপর দিকে তেমি, ছুয়োনা ছুয়োনা ওরে দাড়াও সরিয়া স্নান করিয়ে না আর মলিন পরশে ।