পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

을 রবি-দীপিতা আয়রে তোরা আয়রে তোর আয়রে, রঙের ধারা ঐ যে ব’হে যায় রে ॥” বসন্তের এবার এল বিদায়ের পালা— “রাঙিয়ে দিয়ে যাও গো এবার যাবার আগে,— আপন রাগে গোপন রাগে অরুণ হাসির অরুণ-রাগে, অশ্রুজলের করুণ-রাগে রং যেন মোর মৰ্ম্মে লাগে আমার সকল কৰ্ম্মে লাগে সন্ধ্যাদীপের আগায় লাগে, গভীর রাতের জাগায় লাগে ॥” নানারূপের মধ্য দিয়ে কবি ফিরছিলেন তার মনের মানুষকে অনুসন্ধান কোরে। কার যের্ণ নয়নের চাওয়া তার পানে যুগিয়েছিল হাওয়া । কত ফাগুনের দিনে তিনি পথ চলেছেন । কত শ্রাবণ-রাতের স্বপ্নে বিভোর করেছেন মন । চাওয়া পাওয়া নিয়ে চলেছিল থেলা । তাঁর মনের মানুষটিকে কথন বা পেতেন পাশে, কখন সে যেত হারিয়ে । শরং এসেছিল ফুলের সাজি নিয়ে, শীত এসেছিল গোধুলি কালের দীপশিখা নিয়ে। কত না বেজেছিল করুণ স্বর, কত না মেতে উঠেছিল আনন্দের নৃত্য। সেই সমস্ত হাসি-কান্না, বাঁধনখোলা ও বাধন বাধা অনেক দিনের অনেক মধু, অনেক মায়া, আজ যেন এক হোয়ে কবির চিত্তকে মত্ত কোরে তুলেছে। নানা স্থানে যারা ছিল নানা হোয়ে, আজ তারা জানার দুয়ারে দিয়েছে হানা ; এখন কবি বুঝতে পেরেছেন