পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নটরাজ—ঋতু-রঙ্গশালা ২১৭ এই ঋতু-নাট্যের যথার্থ তাৎপৰ্য্য। একই দোলাতে ষে ভিতর বাহির মৃত্য কোরে ফিরছে তার তাৎপৰ্য্য তিনি উপলব্ধি কোরেছেন – “আজি নাই আধা আধি ভিতর বাহির বাধি’ এক দোলাতেই দোলে মোর অন্তরতম |’ ঋতুদের মধ্যে আনাগোনার যে উৎসব চলেছে, পৃথিবীময় একটা আনন্দের নাট্যলীলা চলেছে, কবি সেই রস এমন কোরে পান কোরতেন যে বাস্তব জগতে এই প্রাণলীলা তার চোখের কাছে মানুষের আনন্দলীলার মতনই প্রত্যক্ষ হোয়ে উঠত। নবীন বলে একটী সঙ্গীত-নৃত্যে তার মনের এই রসসম্ভোগের দিকটী ফুৰ্ত্ত হোয়ে উঠেছে। প্রথম পর্বে আমরা দেখতে পাই বসন্ত-বন্দনা— “বাসস্তী, হে ভুবন মোহিনী, দিকৃপ্রান্তে, বনবনাস্তে শু্যাম প্রাস্তরে আমছায়ে সরোবর তীরে নদীনীরে নীল আকাশে মলয় বাতাসে, ব্যাপিল অনন্ত তব মাধুরী।” এই বসন্তের আনন্দেব স্বব যেন নিঝরিণীকে কোরে তুলেছে কলহান্তচঞ্চল । চূর্ণ চূর্ণ স্বর্ষ্যের আলো উদ্বেল তরঙ্গ-ভঙ্গের অঞ্জলি বিক্ষেপে । এই আনন্দ আবেগের মধ্যে রয়েছে অক্ষয় শৌর্য্যের অনুপ্রেরণ । রসরাজের নিমন্ত্রণের প্রসন্নতা আজ নেমে এসেছে কুঞ্জে কুঞ্জে ; পুঞ্জীভূত হোয়ে উঠেছে অন্তঃক্ষিত গন্ধরাজ মুকুলের প্রচ্ছন্ন গন্ধরেণুতে। সকলেই চাচ্ছে নটরাজের স্বরের দীক্ষা ।