পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२e রবি-দীপিতা পথই নিয়ে যায় দূরে। ঘরের মধ্যে মিলন স্থায়ী হয় না। পথে বেরিয়ে পড়লে তবেই পথিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ এড়ান যায়, তাই পথকে করি প্রণাম । “মোর পথিকের তুমি এনেছ এবার করুণ রঙীন পথ, এসেছে এসেছে অঙ্গনে মোর দুয়াবে লেগেছে রথ ।” পথ নিয়ে আসে পথিককে । বস্তুত পথ আর পথিকে তফাৎ নেই। পথ হোচ্ছে যাওয়ার স্পন্দনের স্রোত। প্রত্যেকটা স্পন্দন হোচ্ছে তার পথিক ; যাত্রার সঙ্গে মিলে গেছে যাত্রী, তাই পথে না বেরুলে পথিককে পাওয়া যায় না ! এর পর আরম্ভ হোল দ্বিতীয় পট । নাট্যলীলায় এল যেন ভাবসন্ধি । কোকিল এখন ডাকছে। শিরীষ বনে পূর্ণ হোয়ে উঠেছে পুষ্পাঞ্জলি, তবু কিসের যেন একটা বেদনা অশথ গাছের পাতায় পাতায় শিউরে উঠছে। বুঝি বা নীরব হোতে চলেছে বসন্তের বীণা ৷

    • কেন ধরে রাখা ওযে যাবে চলে মিলন লগন গত হোলে,

স্বপন শেষে নয়ন মেল নিবু নিৰু দীপ নিবায়ে ফেল । কি হবে শুকান ফুলদলে ।” * * ‘চলে যায় মরি হায় বসন্তের দিন চলে যায় দূর শাখে পিক ডাকে বিরাম বিহীন। অধীর সমীর ভরে উচ্ছসি বকুল ঝরে গন্ধ সনে হোল মন মুদুরে বিলীন।” এক দিন ঝরা পাতা বসন্তকে এনেছিল ডেকে। আজ আবার বৈশাখের খর প্রতাপ পাতা ঝরিয়ে তাকেই দিচ্ছে বিদায় ।