পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নটরাজ—ঋতু-রঙ্গশালা ૨૨૪ “ঝরা পাতা আমি গো তোমারই দলে । অনেক হাসি অনেক অশ্রুজলে ফাগুন দিল বিদায় মঞ্জ আমার হিয়া তলে ।” পথিক এসে দূরের বাণীকে দেয় জাগিয়ে, আর কাছের বাধনকে দেয় আলগা কোরে । একটা অপরিচিতের দিয়ে যায় ঠিকানা, কালে কালে মন হোয়ে ওঠে উদাস । “বাজে করুণ স্বরে, (হায় দূরে, ) তব চৰণ-তল-চুম্বিত পান্থ-বীণা। এমন পান্থচিত-চঞ্চল জানি না কি উদ্দেশে ॥” “মুখী গন্ধ আশান্ত সমীরে ধায় উতলা উচ্ছাসে, তেমনি চিত্ত উদাসীরে নিদারুণ বিচ্ছেদের নিশীথে ।” সমালোচনায় কাব্যের যথার্থ পরিচয় দেওয়া যায়ু না । কাব্যের পরিচয় পাওয়া যায় তার আস্বাদে, সে অস্বাদ হোচ্ছে সরবতের মত । তাতে যেমন থাকে রসের মিষ্টতা তেমনি থাকে নানাজাতীয় গন্ধ। থাকে ছন্দ, থাকে শব্দের ছটা, অর্থের দূর-প্রসারী ছায়, স্বরের দোলা ও অন্তর্নিহিত কোন না কোন সত্যের ব্যঞ্জনা । এই সমস্তগুলি মিশ্রিত হোয়ে জমে ওঠে কাব্যের রস । গীতিনাট্যগুলিতে এর সঙ্গে যোগ দেয় বসন-ভূষণের সজ্জা, রঙ্গমঞ্চের শোভা এবং নাচের ছন্দ । যারা শুনতে আসে তারা অৰ্দ্ধেক মন ভিজিয়েই আনে, তাই গীতি-নাট্যের প্রত্যক্ষ দশনে সদ্য সদ্য ওঠে রসের অঙ্কুব গজিয়ে। এ যেন মায়াবীর মায়া-আচ্ছাদনের মধ্যে থেকে চুত বৃক্ষের উদগম আর তার শাখায় শাখায় চুত ফলের আস্বাদ ; সমালোচকের সাধ্য নেই যে সে এই রসকে কোনক্রমে পরিবেশন