পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

સ્વરર রবি-দীপিতা করে। রসের গণ্ডী পেরিয়ে সমালোচক তার দাত ঠেকায় আঁটিতে। তার ভাষায় সে রসকে পারে না ধ্বনিত কোরতে, সে খালি দেখাতে পারে যে রসের অন্তর্নিহিত হোয়ে কোন বস্তুটা ধ্বনিত হোয়ে উঠছে। সে পারে বুদ্ধির খোরাক জোগাতে, রস পরিবেশনের দরকারে তার প্রবেশ নেই। রসে যখন মানুষ বিভোর হয় তখন সে অন্য কিছুর খোজ রাখে না। রস যখন আসে ফিকে হয়ে, বুদ্ধি তখন চায় তার পাচ আঙ্গুলের মুঠো দিয়ে বস্তুটাকে অঁাকড়ে ধরতে ; সে বলে এমন বিভোর হওয়ার হেতু কি ? বস্তুটা কি পেয়েছে ? রসিক বলে তাত জানি না, জানবার খেয়ালও হয়নি। আবার প্রশ্ন হয়, অকারণে এত খুলী হওয়ার তোমার অধিকার কি, খুণী হওয়ার অধিকার ঘটে খুলী হওয়ার উপাদানে আর ষে খুলী হয় তার মনে, এই দুয়ের আছে অবিচ্ছিন্ন সম্বন্ধ, তাকে বিশ্লেষণ কোরে দেখান যায় না কিন্তু তবু বুদ্ধির খোজা নিফল নয়। আম খেয়ে আমরা আঁটিটা ফেলে দিই, রসাস্বাদের পক্ষে আটিটা নিম্প্রয়োজন। তবু আঁটিটা একেবারে প্রয়োজনহীন নয়। তাকেই অবলম্বন কোরে ঘটবে কালাস্তরে বহুরসের পরিবেশন ; কবির অস্তরেও আঁটির মতনই থাকে সত্যাহ্বভবের একটা বীজ, মুক্ত গাথবার একটা সূত্র ! তাই নিয়ে তিনি গাথেন মালা, উৎপন্ন করেন নানা ব্যঞ্জনায় নানাবিধ ফুলের ফসল । সমালোচক চায় এ বীজের স্বরূপটি নির্ণয় কোরতে। মালা থেকে সে পৃথক কোরে নেয় মালার স্বতে, সে বের কোরতে চায় চেতনার মধ্যে রসের ভিত্তি কোথায়, আর সেই ভিত্তি কাব্য দ্বারা কেমন কোরে হয়েছে উদ্ভাসিত । এই উদ্ভাসের সঙ্গে পরিচয় হোলে চেতনা লোক থেকে রসলোককে স্পশ করা যায়। এ স্পশ না ঘটলে সত্যের মধ্যে রসলোকের প্রতিষ্ঠা কোথায় তা অনুভব করা যায় না। মেঘের মত ঝরঝরিয়ে ঘটে রসবৃষ্টি কিন্তু রসবৃষ্টিতেই রসের শেষ । বর্ষণের পর আর মেঘকে খুজে পাওয়া যায় না । রসবৃষ্টি ক্ষণিক মেঘের ঝরণা নয়, সে ঝরণা ঝরে নিত্য লোকের আকাশ থেকে। সেই আকাশকে একদিকে আমরা যেমন পাই রসের পরিচয়ে অপরদিকে তেমনি পাই চেতনার উন্মেষিত প্রত্যুষে, এইটুকুই সমালোচকের কাজ ।