পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২৪ রবি-দীপিত এর আলোছায়ার উপর দিয়ে ভাস্তে ভাসতে চলে যাবে আমার চেতনা চিস্তাহীন, তর্কহীন, শাস্ত্রহীন মৃত্যু মহাসাগর সঙ্গমে । কত বৎসরের বর্ষার আনন্দ কবির মজ্জার মধ্যে রস-সম্পদ জুগিয়েছে একটু একটু কোরে, প্রতিবার লেগেছে জীবনের পটভূমিকায় নিবিড়তর হোয়ে রঙের প্রলেপ। শিল্পকারের অঙ্গুলিমুদ্রার ব্যাপ্ত সঙ্কেত অঙ্কিত হোয়েছে তার অন্তর ফলকে, বিশ্বত মুহূৰ্ত্তের কত সঞ্চয় পুঞ্জিত হোয়ে ক্রমশঃ আঢ্যতর কোরে তুলেছে জীবনের গুপ্তধনের ভাণ্ডার, বহু-বিচিত্র কারুকলায় এমনি কোরে চিত্রিত হোয়েছে কবির সমগ্র সত্ত্বা, তার সমস্ত সঞ্চয়ের পরিচয় কোন দিন হবে না অনাবৃত । অথচ তার তপস্যার মধ্যে তিনি চেয়েছেন আপনাকে প্রকাশ কোরতে, তাই কবি বলছেন— কবির প্রকাশ হবে পূর্ণ, আপনি প্রত্যক্ষ হব আপনার আলোতে, বধু যেমন সত্য কোরে জানে আপনাকে, সত্য কোরে জানায় | যখন প্রাণে জাগে তার প্রেম, যখন দুঃখকে পারে সে গলার হার কোরতে, যখন দৈন্তকে দেয় সে মহিমা যখন মৃত্যুতে ঘটে না তার অসমাপ্তি। দিনের প্রাস্তে গোধূলির ঘাটে পথে পথে যে পাত্র পূরণ করেছি নানা ভিক্ষায় ; কঠিন দুঃখে যা করেছিলুম অর্জন তার সার্থকতার কথা কখন মনে পড়েনি। অকারণে বেড়িয়েছি কুড়িয়ে ; অন্ধ অভ্যাসে রুদ্ধ করেছিল দৃষ্টি, আজ যখন পথ এল ফুরিয়ে, দিনের আলো ডুবে গেল নিশীথের অন্ধকারে, জীবনের আলো গেল নিভে, স্বর গেল থেমে। তবু এই জীবনকে যা একদিন