পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ-সপ্তক २२¢ পূর্ণ করে রেখেছিল তাকে সত্য বলেই মানতে হবে। কোনদিন দৈবে কারুর সঙ্গে দেখা হয়েছিল যে হয়ত জল ভরা ঘট নিয়ে চলে গিয়েছিল চকিত পদে এই সামান্ত ছবিটুকুরও মূল্য আছে জীবনের প্রবাহের মধ্যে। তবু চাইনে আমরা পিছনে ফেলে যেতে দীর্ঘনিশ্বাসের একটা মলিন ছায়া, ধূলোর হাতে উজাড় করে দিই আমরা আমাদের সমস্ত দাবী তারপর আর পিছনে ফিরে অর্ঘ্য সংগ্রহের মায়ায় যেন আমাতে আমরা বন্ধ না করি, যাকিছু যার দেবার আছে, তা দিতে হবে যেখানে জীবন-প্রবাহ চলেছে কালপ্রবাহের সঙ্গে তাল রেখে । হাজার হাজার বছরের মরু যবনিকার অন্তরাল থেকে যখন আবিষ্কৃত হয় দিন তারিখ হারানো একটা প্রাচীন ইতিহাসের মহাকঙ্কাল তখন আমরা দেখতে পাই যে সেকালের সমস্ত বাণী গেছে স্তব্ধ হোয়ে, অঙ্কুরিত সমস্ত কবিগান গিয়েছে ধ্বংস হোয়ে ধোয়ার মধ্যে সব হোয়েছে বিলীন, যা বিকিয়েছিল যা বিকায়নি তার সমস্ত পেয়েছে এক মূল্য, অথচ কোথাও নেই তার ক্ষত, কোথাও বাজেনি তার ক্ষতি । কত কল্প কল্পান্তর ধরে নূতন নূতন বিশ্বের চলেছে ভাঙা-গড়া মহা আকাশের মধ্যে। মিশে গিয়েছে তারা আলোড়িত নক্ষত্রের ফেনপুঞ্জে, তেমনি করেই তারা বিলীন হোয়ে গেছে যেমন করে বিলীন হয় বর্ষণক্লাস্ত মেঘ, তাই কবি বলছেন— মহাকাল, সন্ন্যাসী তুমি, তোমার অতলম্পর্শ ধ্যানের তরঙ্গ শিখরে উচ্ছ্বত হোয়ে উঠছে স্বষ্টি আবার নেমে যাচ্ছে ধ্যানের তরঙ্গতলে । প্রচণ্ড বেগে চলেছে ব্যক্ত অব্যক্তের চক্র নৃত্য, তারি নিস্তব্ধ কেন্দ্রস্থলে তুমি আছ অবিচলিত আনন্দে। হে নিৰ্ম্মম, দাও আমাকে তোমার ঐ সন্ন্যাসের দীক্ষা জীবন আর মৃত্যু, পাওয়া আর হারানোর মাঝখানে @@