পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९२७ রবি-দীপিতা যেখানে དསitཛཱ་ཝཱ་ལཱ་ শান্তি সেই স্বষ্টি-হোমাগ্নিশিখার অস্তরতম স্তিমিত নিভৃতে দাও আমাকে আশ্রয় । কবি বলছেন যে প্রাণপ্রবাহের এই প্রবাহ-ধৰ্ম্মই একমাত্র সত্য, এর মধ্যে যা ফুটে ওঠে তা দিয়ে অমর করবার চেষ্ট মিথ্য বাতুলতা মাত্র। অজস্তার গুহায় প্রস্তরের ভিত্তিতে ভিত্তিতে অজ্ঞাতনামা রূপকার বর্ণে বর্ণে চিত্রিত করে গেছে তার ছবি, রেখে যায়নি তার নাম, উপেক্ষা করেছে অপেন পরিচয়কে, নাম দিয়েছে মুছে, নামের মায়া বন্ধন থেকে মুক্ত হোয়ে তারা পেয়েছে অনিৰ্ব্বচনীয়ের স্বাদ, র্তারা ছিলেন রূপের তাপস। তাদের নি:শব্দ বাণী ঝঙ্কত হোচ্ছে গুহায় গুহায় । খ্যাতির কামনা, যশের কামনা, সে ত প্রেতের আহার, ওপারে যে চলে যাবে তার ত শক্তি নেই ভোগ করার। সেই ভাবীকালের পূজার অর্ঘ্য অন্নপূর্ণর যে অন্ন আঞ্জ আমরা সাদরে গ্রহণ করছি তা ফেলে ভোগশক্তিহীন নিরর্থক ভাবীকালের খ্যাতির দিকে লোলুপ হবার কি কোন অর্থ আছে। সামনে দেখি সজনে গাছের পাতা ঝরছে, কচি পাতায় উঠছে রোমাঞ্চ, মধ্যাহ্নের তপ্ত হাওয়া গাছে গাছে ফিরছে দোল খেয়ে। নানা পাখীর কলগান বাতাসে একে দিচ্ছে অক্ষুট আলপনা। এই নিত্যবহমান স্রোতের মধ্যে চলেছে আত্মবিস্মৃত প্রাণের হিল্লোল, ঝলমল করে উঠছে সমস্ত দিক দিগন্ত, কৃষ্ণচূড়ার পুপাবলীতে এইত আমাদের অন্নপূর্ণার দান ; মুহূৰ্ত্তে মুহূৰ্ত্তে অঞ্জলি ভরে আমরা এই প্রাণপ্রবাহকে পাচ্ছি পান কোরতে ; এর সত্যে ত কোন সংশয় নেই। মৃত্যুর পরের যে খ্যাতি তা ভোগ কোরবে কোন প্রেতের কঙ্কাল । এই পাতারই হিল্লোলের মত কবি যান তার অন্তরে গান গেয়ে, রৌদ্রের ঝলকের মত র্তার মধ্যে স্ফুট হোয়ে ওঠে প্রকাশের হর্ষ বেদনা, তার যেটুকু সত্য তা সেই মুহূৰ্ত্তেই পেয়েছে তার সমাপ্তি তার পূর্ণতা। ভবিষ্ণুতে নামের বোঝা চাপালে তার বৃদ্ধি হবে না এতটুকু, যদি