পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ-সপ্তক ২২৭ মৃত্যুর পর চলতে থাকে বেদনাহীন চেতনাহীন ছায়ামাত্র-সার একটা কবিখ্যাতি একটা নামের খ্যাতি, তবে— ধিক্ থাক সেই কাঙাল কল্পনার মরীচিকায় । জীবনের অল্প কয়দিনে বিশ্বব্যাপী নামহীন আনন্দ দিক্ আমাকে নিরহঙ্কার মুক্তি । সেই অন্ধকারকে সাধনা করি যার মধ্যে স্তব্ধ বসে আছেন বিশ্বচিত্রের রূপকার, যিনি নামের অতীত, প্রকাশিত যিনি আনন্দে । ভেবে দেখলে দেখা যায় যে আমাদের নাম আমাদের কতটুকু পরিচয় দেয়। আমার সত্তা যেন একটি অগম্য গ্রহ । বাষ্প আবরণের মধ্যে সে রয়েছে ঢাকা । মাঝে মাঝে যেটুকু ফাক হয় তারি মধ্যে দিয়ে তার একটু পরিচয় পাওয়া যায় দূরবীণে ; যাকে বলতে পারা যায় আমার সবট। তার নক্স এখনও শেষ হয়নি, তার সঙ্গে আমাদের প্রত্যক্ষ কোন ব্যবহার নেই। এই অনাবিষ্কৃতের প্রাস্ত থেকে যে টুকরোগুলো আমরা সংগ্ৰহ করি তাকেই জোড়া তাড়া দিয়ে দিই একটা নাম, চারিদিক থেকে নানা বেদনার রঙিন ছায়া নেমে আসে আমাদের চিত্তপটে, তার অন্তরে যে অদৃপ্ত হয়ে রয়েছে সেত হয় না স্পষ্ট, ভাষার বাধুনিতে তাকে ধরা যায় না । জীবনের একপ্রান্ত রয়েছে কৰ্ম্ম-বৈচিত্র্যে বন্ধুর হোয়ে, তার অপর প্রান্ত রয়েছে আচরিতার্থ সাধনায় বাষ্পায়িত হোয়ে, তার ছবি অশকা পড়ছে মরীচিকার মধ্যে, আমাদের জীবনে যেটুকু ব্যক্ত হোয়েছে জন্ম মৃত্যুর সঙ্গমস্থলে তার পিছনে রয়েছে পুঞ্জীভূত অপ্রত্যক্ষতা, রয়েছে আত্ম-বিস্তুত শক্তি, মূল্য পায়নি এমন মহিমা ; সেখানে হয়ত রয়েছে ভীরুর লজ্জা, প্রচ্ছন্ন আত্মবিমাননা, আত্মাভিমানের ছদ্মবেশে বহু উপকরণ—যেখানে রয়েছে ঘন কালিমা অপেক্ষা কোরছে তার মৃত্যুর সম্মার্জনীর স্পর্শ। হয়ত রয়েছে সেখানে কত স্বচনা কত