পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२४ রবি-দীপিত ব্যঞ্জনা যা প্রকাশ লাভ কোরতে পারেনি কৰ্ম্মের মধ্যে বা ভাষার মধ্যে, তার ধ্বংস হবে অকস্মাৎ নিরর্থকতার অতলে, নামের মধ্যে যেটুকু প্রকাশ পেয়েছে তার অগোচরে কেন রয়েছে এই বিরাট সত্তা, কেন বিধাতা দিয়েছেন তার উপরে অপ্রকাশের পর্দা টেনে, তাই কবি বলছেন— অপ্রকাশের পর্দা টেনেই কাজ করেন গুণী ; ফুল থাকে কুঁড়ির অবগুণ্ঠনে, শিল্পী আড়ালে রাখেন অসমাপ্ত শিল্পপ্রয়াসকে ; কিছুকিছু আভাস পাওয়া যায়, নিষেধ আছে সমস্তটা দেখতে পাওয়ার পরে । আমাতে তার ধ্যান সম্পূর্ণ হয়নি, তাই আমাকে বেষ্টন কোরে এতখানি নিবিড় নিস্তব্ধতা । তাই আমি অপ্রাপ্য, আমি অচেনা ; অজানার ঘোরের মধ্যে এ স্বষ্টি রয়েছে তারই হাতে, কারও চোখের সামনে ধরবার সময় আসেনি, সবাই রইল দূরে,— যারা বললে ‘জানি তারা জানলো না। আর একটি কবিতায় কবি বলছেন যে সব মানুষই অজানা, তারা আপনার রহস্তে আপনারা একাকী । সংসারের ছাপমারা কাঠামো দিয়ে সংজ্ঞার বেড়া দিয়ে আমরা মানুষের সীমা রচনা করি কিন্তু যখন কারুকে ভালবাসা যায় তখন সেই ভালবাসায় সীমার আড়ালটা পড়ে খসে, তাকে আমরা আবিষ্কার করি নূতন কোরে, সে স্বয়ং স্বতন্ত্র অপূৰ্ব্ব অসাধারণ, তার জুড়ি কেউ নেই। গানের মধ্য দিয়ে ফুলের ভাষার ইঙ্গিতে করতে হয় তার অভ্যর্থনা— চোখ বলে, যা দেখলুম, তুমি আছ তাকে পেরিয়ে।