পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిరిe রবি-দীপিত প্রত্যেক মামুষের মধ্যেই আছে রূপ থেকে রূপের বাহিরে সীমাহীনের মধ্যে একটা ব্যাপ্তি। রূপকে নিয়ে থাকি আমরা মিলনের খাচায় কিন্তু বিরহ নিত্য থাকে পার্থীর পাথায়, তার ঠিকানা নেই, তার অভিসার দিগন্তের পারে, সকল দৃশ্বের বিলীনতায় । আর একটি কবিতাতে কবি বলেছেন যে এক মুহূৰ্ত্তের নিবিড় ভালবাসার নিবিড় অনুভবের মধ্যে আমরা যে নিঃসীমতা পাই তারই মধ্যে আমাদের যথার্থ বেঁচে থাকা, তার বাইরে যাকিছু জীবন সে গৌণ । আর একটি কবিতাতে কবি দেহ থেকে আপনাকে পৃথক কোরে অতুভব করবার চেষ্টা করেছেন। দেহ এসেছে কত লক্ষ পূৰ্ব্ব পুরুষের রক্তের প্রবাহ নিয়ে, কত যুগের ক্ষুধা, কত যুগের তৃষ্ণ ওর মধ্যে রয়েছে সঞ্চিত । ওর জরা দিয়ে ও আচ্ছন্ন করে জরণহীন আমার স্বরূপকে । ওর প্রতি আমার মমতা অসীম তাই ওকে যখন মরণে ধরে তখন আমার ভয় লাগে, মনে থাকে না যে আমি মৃত্যুহীন— “মুক্ত আমি স্বচ্ছ আমি স্বতন্ত্র আমি নিত্যকালের অালো আমি, স্বষ্টি উৎসের আনন্দধারা আমি, অকিঞ্চন আমি ; আমার কোন কিছুই নেই, অহঙ্কারের প্রাচীরে ঘের ।” রবীন্দ্রনাথের চিত্তের মধ্যে আপনার সীমাকে এড়িয়ে একটি দূরদূরাস্তকে লক্ষ্য কৰুে ছোটবার প্রবৃত্তি দেখা যায়। এই প্রবৃত্তি নানাদিক দিয়ে তার নানাজাতীয় কাব্যামুভবের মধ্যে ধরা পড়েছে। ধরার মধ্যে যে একটা অধরা অন্বেষণ নিরস্তর চলেছে এবং অধরাই যে ধরার তত্ত্ব এবং ধরাই যে অধরার তত্ত্ব এই কথাটি তিনি নানা ব্যঞ্জনায়, নানা স্থানে প্রকাশ কোরতে চেষ্টা কোরেছেন । ধূর্জটি প্রসাদকে