পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

నళిని * রবি-দীপিতা আর একটি কবিতায় তিনি বলছেন— “ভালবাসায় সম্ভবের মধ্যে নিয়তই অসম্ভব, জানার মধ্যে অজানা, কথার মধ্যে রূপকথা । ভুলেছি প্রিয়ার মধ্যে আছে সেই নারী, যে থাকে সাত সমুদ্রের পারে, সেই নারী আছে বুঝি মায়ার ঘুমে যার জন্যে খুজতে হবে সোনার কাঠি।” এই দূরের দিকের আকাঙ্ক্ষার মধ্যে গুপ্ত হয়ে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের তত্ত্ব দৃষ্টির অনুভব । ষে প্রবাহ চলেছে সমস্তেব মধ্য দিয়ে, সমস্ত সীমার মধ্য দিয়ে সে রয়েছে সকল সীমাকে লঙ্ঘন করে ; তাই প্রত্যেক সীমাবদ্ধ বোধ বা অনুভব সেই অসীমের দিকে তাকিয়ে আপনাকে সার্থক কোরতে চায়। কেবলই আমরা তাকিয়ে থাকি উৎসুক চোখে, আপনাকে দেখতে চাই আপনার বাহিরে, অভ্যস্ত পরিচয়ের পরপারে । যখন আমরা নগ্ন হেীয়ে মগ্ন হোতে চাই সমস্তের মাঝে, তখনি আমরা অস্তিত্বের দিই পূর্ণ মুল্য। তাই কবি বলছেন— “আমার এতকালের কাছের জগতে আমি ভ্রমণ কোরতে বেরিয়েছি দূরের পথিক। তার আধুনিকের ছিন্নতার ফাকে ফাকে দেখা দিয়েছে চিরকালের রহস্য । সহমরণের বধু বুঝি এমনি কোরেই দেখতে পায় মৃত্যুর ছিন্নপর্দার ভিতর দিয়ে নূতন চোখে চিরজীবনের৯অম্লান স্বরূপ ।” এইটিই হোচ্ছে শেষ সপ্তকের একটি প্রধান মুর, একটা মহাক্সোত চলেছে কাল থেকে কালাস্তরে, দেশ থেকে দেশান্তরে, তারই মধ্যে বুদ্ধদের মত দেখা