পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৪ রবি-দীপিতা হোল কবির দেখা । সে জিজ্ঞাসা কোরল যে তুমি কাকে খুজে বেড়াও। কবি তার জবাবে বললেন যে তিনি যেন বিশ্বকবির ছড়া থেকে ছিন্ন করা একটী পদ । তিনি খুজছেন অন্য পদটর সন্ধান যার সঙ্গে মিলিত হোলে তীর পদটী পাবে সার্থকতা । মেয়েট আবার জিজ্ঞাসা কোরলে কেমন করে অসংখ্যের মধ্যে তোমার একটকে খুজে পাবে ? তার জবাবে কবি বললেন যে সেকথা তার অস্তরের গোপন বেদনায় ধরা পড়বে। এই ছোট্ট একটী ছবি গাথা রয়েছে কবির বেদনায়। এমনি হয়ত কোন কবিতায় আভাস দিয়েছে হঠাৎ মনে পড়া একটা স্বপ্নের মত ভেসে আসা পূৰ্ব্ব জীবনের একটা কোমল সম্বন্ধ। আবার হয়ত বা কোথাও জমিয়ে তুলেছেন রোঘে ডাকাতের গল্প কিম্বা শিখ বালকের গল্প। আবার হয়ত কোনখানে যুগযুগান্তব্যাপী স্পন্দধারার মধ্যে ভাঙাগড়ার মধ্যে অনুভব কোবেছেন তার হৃৎস্পন্দনের অসীমের স্তব্ধতা। হয়ত বৰ্ণ আকস্মিক চেতনার নিবিড়তায় চঞ্চল হয়ে কোন এমন কথা জানাতে চেযেছেন যা দেহের অতীত। খাচার পাখীর কণ্ঠে যে বাণী ফুটে ওঠে তা যেমন শুধু খ'চারই নয় তার মধ্যে গোপন হয়ে আছে অগোচরের অরণ্য-মৰ্ম্মর আর তার করুণ বিস্মৃতি । চোখের সামনে যে চক্রবাল রেখা দেখি তা যেমন ইঙ্গিতে জানিয়ে দেয় কোন কল্পলোকের অদৃশু সঙ্কেত। মাটির তলায় যে বীজ থাকে স্বপ্ত সে যেমন স্বপ্ন দেখে বাহিরের আকাশের আলোর এবং বাতাসের । আবার একটি কবিতায় কাজ ভোলা একটি দিনে তার মন যেন চলেছে উধাও চলার মত, লীন হতে চেয়েছে নিঃসীম নীলিমায়, ঝাউ গাছের মৰ্ম্মর ধ্বনিতে মিশে মনের মধ্যে শুধু এই কথাটী বেজে উঠেছে “আমি আছি”। সংসারের ষে দিকে তাকিয়েছেন সেইদিক থেকেই যেন বিশ্বমৰ্ম্মের নিত্যকালের সেই বাণী উঠেছে জাগ্ৰত হোয়ে—“আমি আছি।” আমের শাখায় মুকুলিত হোয়ে উঠেছে সেই বাণী—“আমি আছি।” প্রিয়ার মুগ্ধ চোখের দৃষ্টি দিয়ে কবির গানের স্বর দিয়ে জাগ্রত হোয়ে উঠেছে সেই বাণী “আমি আছি।” কোন কবিতায় হয়ত যক্ষের প্রেম বিরহের মধ্য দিয়ে কেমন কোরে ভাষা পেয়ে সার্থক হোয়েছে তারি এ কেছেন ছবি ।