পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কড়ি ও কোমল > S. কত দিবসের তুমি বিরহের ব্যথা, কত রজনীর তুমি প্রণয়ের লাজ, সেই হাসি সেই অশ্রু সেই সব কথা মধুর মূরতি ধরি দেখা দিল আজ তোমার মুখেতে চেয়ে তাই নিশিদিন জীবন সুদূরে যেন হতেছে বিলীন । ক্ষুধাতুর মৃত্যুর মতন যে লৌকিক ইন্দ্রিয় লালসা তমসাচ্ছন্ন ছায়ার মত দিগ্বিদিক্ একেবারে আচ্ছন্ন ক’রে ব’লে উঠেছিল বিজন বিশ্বের মাঝে মিলন শ্মশানে নিৰ্ব্বাপিত স্বৰ্য্যালোক লুপ্ত চরাচর। এখানে সে ভাব অন্তহিত হয়েছে । অসীমের বিরাট আকাঙ্ক্ষার মধ্যে কবি উধাও হ’য়ে গেছেন, সমস্ত ইন্দ্রিয় গিয়ে আত্মায় সংহত হয়েছে, সমস্ত রূপ গিয়ে সেই অরূপের লীলা সাগরে অভিষিক্ত হ’য়েছে এবং প্রাণ তার আপন অখণ্ডত ও অমরতার দ্বারা সমস্ত খণ্ডকে, সমস্ত নশ্বরকে আপন অমৃতাকর্ষণে উত্তান-দীর্ঘ ক’রে অনন্তের পথে ছুটেছে। অভঙ্গ ও অক্ষয়ের মধ্যে ভক্ষুব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জগতের সমস্ত সুন্দর সেই এক অনন্তের স্থতায় চিরদিনের জন্য আবদ্ধ হ’য়ে রয়েছে, আত্মা তার আপন অস্তরের স্বচ্ছ দর্পণের মধ্য দিয়ে তার সন্ধান পেয়েছে ! অনন্তের গুটিকা কবির করপল্লবে এসে পড়েছে। অভিজ্ঞান শকুন্তলে রূপলোলুপ দুষ্যস্ত তার বিলাস ভবনে মুখাসীন। অস্তঃপুরে হংসপদিক সঙ্গীতের বর্ণপরিচয় করিতেছেন— অহিণব মহুলোলুবো তুমং তই পরিচুম্বিঅ চুঅমঞ্জরীম্। কমলবসইমেম্ভণিরুদো মহুঅর বিম্বমরিদোসি খং কহং। চুত মঞ্জরীরে করিয়া চুম্বন আকুল আবেগ ভারে অলি মধুলোভি কমলে বসিয়া ভুলিলে কেমনে তারে।