পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীথিকা నరిమా অতীতের ছায়া কবিতাটিতে কবি ধানে মহাতীতের স্পর্শ লাভ করবার চেষ্টা করেছেন। অতীতের শূন্তত কবির চিত্তে র্তার ধ্যান-লোকের মধ্যে অসংখ্য স্বপ্নের ভিতর দিয়ে প্রাচীন বস্তুহীন স্বষ্টিকে প্রত্যক্ষ কোরতে চেষ্টা কোরেছেন। অতীত শান্ত, তার বৰ্ত্তিক অন্ধকারের মধ্যে নিৰ্ব্বাপিত, তবু সেই অতীতকে অবলম্বন কোরে স্মরণ ও বিস্মরণের নানা বর্ণের মধ্য দিয়ে উজ্জল তারকার ন্যায় কত আখ্যায়িকা চিত্তপটে উদ্ভাসিত হোয়ে ওঠে। আমাদের জীবনের যে অংশ অতীত সেটি ছায়ার মতন ঘিরে রেখেছে আমাদের বর্তমানকে। সেই অতীতের অনুভূতি থেকেই কবি করেন তার স্বষ্টি । এই অতীতকে আমরা ব্যবহারে লাগাতে পারি না কিন্তু এই অতীতের স্মৃত ও বিশ্বত উপাদানকে অবলম্বন করে আমরা অশকতে পারি নানা রকমের ছবি । কাব্যের মধ্যে দিয়ে কবি পরিবেশন করেন রস । যতক্ষণ ব্যক্তিগত স্বাথ, ব্যক্তিগত সীমাকে অবলম্বন কোরে আমাদের সুখদুঃখ, ভয় ক্রোধ উৎপন্ন হয় ততক্ষণ তা একান্তই ব্যক্তিগত ; ব্যক্তিগত বলেই তা সৰ্ব্বজনীন নয়। য! সৰ্ব্বজনীন নয় তা কাব্যের উপাদান হয় না সেইজন্য আমাদের বর্তমানের স্বপদুঃখ নিয়ে আমরা কাব্য লিখতে পারি নে। যে সমস্ত সুখদুঃখ, ভয় ক্রোধ হর্য বিষাদ এমন কোরে অতীত হোয়ে গেছে, যে তাদের সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত আত্মীয়তা একাস্ত বিচ্ছিন্ন হোয়ে গেছে, অতীতের গর্ভ থেকে সেই সমস্ত বর্ণের রেখা দিয়েই কবিকে অণকতে হয় তার ছবি। সেখানে কবির কোন স্বার্থের বন্ধন নেই কাজেই সেখানে তার স্বষ্টি বন্ধহীন । “ঘুচিল কৰ্ম্মের দায়, ক্লাস্ত হোলো লোকমুখে খ্যাতির আগ্রহ ; দুঃখ যত সয়েছি দুঃসহ তাপ তার করি আপগত মূৰ্ত্তি তারে দিব নানামতো আপনার মনে মনে ।