পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 • রবি-দীপিত কলকোলাহলে শাস্ত জনশূন্ত তোমার প্রাঙ্গণে যেখানে মিটেছে দ্বন্দ্ব মন্দ ও ভালোয়, তারার আলোয় সেখানে তোমার পাশে আমার আসন পাতা,— কৰ্ম্মহীন আমি সেথা বন্ধহীন স্মৃষ্টির বিধাতা।” “মাটি” কবিতাটিতে কবি এই কথাই প্রধান ভাবে বলতে চেয়েছেন ষে মাটির ওপরে কারো কোন চিরন্তনত্বের দাবী নেই। বর্তমানে যাকে আমরা মাটি বলে জানি তারি অন্তরে শাল গাছ গিয়েছে তার শিকড় গেথে। কত যাত্রীর দল যুগযুগান্তরে গিয়েছে তাব উপর দিযে। কত আৰ্য্য অনার্ষ্য, কত নামহীন জাতি তার ইতিহাসের ধারা বিলুপ্ত কোরে গিয়েছে এই মাটির উপর, কত ঋতুর পৰ্য্যায় কত বাত্রি আর দিন অন্তহীন ভাবে হোয়েছে আবৰ্ত্তিত ! যেখানে আমব বেড়া তুলি, যেখানকার তৃণকে করি উৎপাটিত, সেই তৃণই সেখানকার স্বাভাবিক অধিবাসী, অন্তহীন কাল ধোরে তারই জীবন হবে বারংবার সেখানে আবৰ্ত্তিত। আমার আমিত্বটুকু যাবে নিঃশব্দে বিলুপ্ত হোয়ে। “দুজন” কবিতাটিতে কবিতার অপূৰ্ব্ব কাব্যশিল্পে এই কথাটি বলতে চেষ্টা করেছেন যে দুটি হৃদয়ের মধ্যে এক মুহূৰ্ত্তে ষে মিলন যে ভালবাসার ছবিটি ফুটে ওঠে সেটি ক্ষণিক হোলেও যেন চিরন্তন। কালস্রোতে সে কোথায় হারিয়ে ষায় তা’কে আমরা পাই না, তবু যেন মনে হয় জগতের সমস্ত অপূৰ্ব্ব সৌন্দর্ঘ্যের মধ্যে সেই মিলনক্ষণের অপূৰ্ব্ব ছটা ঝলমল কোরছে। তাই কোন মুহূৰ্ত্তেব ক্ষণিক মিলনের মধ্যে আমরা সমস্ত অতীত মিলনোৎসবের স্পর্শটি গভীর ভাবে অনুভব কোরতে পারি। “সে মুহূৰ্ত্ত উৎসের মতন, একটি সঙ্কীর্ণ মহাক্ষণ উচ্ছলিত দেয় ঢেলে আপনার সব কিছু দান ! সে-সম্পদ দেখা দেয় ল’য়ে নৃত্য, ল’য়ে গান,