পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8२ রবি-দীপিত সপ্তর্ষির তপোবনে হোম-হুতাশন হোতে আনো তব দীপ্ত শিখা, তাহারি অালোতে নিজনের উৎসব-আলোক পুণ্য হবে, সেই ক্ষণে আমাদের শুভদৃষ্টি হোক । অপ্রমত্ত মিলনের মন্ত্র সুগম্ভীর মন্দ্রিত করুক আজি রজনীর তিমির মন্দির।” “ধ্যান” কবিতাটিতে কবি দেখিয়েছেন যে ধ্যানের মধ্যে প্রেমের এমন একটি প্রকাশ হোতে পারে যাতে আমাদের সত্তার সমস্ত আন্দোলন একেবারে থেমে যায় এবং উভয়ের সত্তা একটি অখণ্ড সত্তায় পূর্ণ হোয়ে ওঠে— “নাই সময়ের পদধ্বনি— নিরন্ত মুহূৰ্ত্ত স্থির, দণ্ডপল কিছুই না গণি, নাই আলো, নাই অন্ধকার— আমি নাই, গ্রন্থি নাই তোমার আমার । নাই মুখ দুঃখ ভয়, আকাঙ্ক্ষা বিলুপ্ত হোলো সব, আকাশে নিস্তব্ধ এক শাস্ত অনুভব, তোমাতে সমস্ত লীন, তুমি আছ একা— আমি-হীন চিত্তমাঝে একান্ত তোমারে শুধু দেখা ” আমাদের জীবনে প্রথম যখন আমরা প্রেমের পরিচয় পাই তখন সে আনন্দে আমরা বিভোর হই । তারপর জীবন যুত চলে এগিয়ে নানা স্মৃতি বিস্মৃতির মধ্য দিয়ে প্রেমের আরও কত কত নূতন প্রকাশ আমাদের জীবনকে করে আন্দোলিত, কিন্তু সমস্ত প্রেমের মধ্য দিয়েই পুরুষের চিত্তে এমনি কোরেই অনাদি যুগের চিরমানবীর হিয়া আত্মপ্রকাশ করে । “দেশের কালের অতীত যে মহাদুর, তোমার কণ্ঠে শুনেছি তাহারি স্বর— বাক্য সেথায় নত হয় পরাভবে।