পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীথিক २8७ অসীমের দূতী, ভীরে এনেছিলে ডালা পরাতে আমারে নন্দন ফুলমালা অপূৰ্ব্ব গৌরবে।” সত্যরূপ কবিতাটিতে রবীন্দ্রনাথ এই কথাটিই বলতে চেয়েছেন যে চারিদিকের নানা চঞ্চলতার মধ্যে প্রত্যহের জানাশোনার মধ্যে আমাদের সত্যরূপকে আমরা দেখতে পাইন, কোন মুহূৰ্ত্তের বিশেষ অনুভবে আমরা বুঝতে পারি যে আমাদেরই সত্তার মধ্যে বিশ্বের স্বষ্টিশক্তি তার আপন সীমা রচনা কোরেছে এবং এই সীমা রচনার মধ্যে প্রকাশ পাচ্ছে একটা অনিৰ্ব্বচনীয় অন্তহীন প্রেম। কবি তার ছন্দে, ভাবে নারীকে তার দেহাতীত সৌন্দর্ঘ্যে ইন্দ্ৰধনুর নানারঙে অঁাকতে চেষ্টা করেন। কামনাকে অবলম্বন কোরে যে কল্পনা আরম্ভ হয়, তার কামনাকে অতিক্রম করে এবং কবি তার ধ্যান প্রতিমাকে তার স্বপ্ন রেখায় এমন করে আঁকেন যে তা বাস্তব নারীকে অতিক্রম কোরে অনেক দূরে চলে যায়। এমনি কোরে কবির অমরবাণীর রসধারায় নারী হোয়ে ওঠে অমৃত । কবির এই কল্পনাকে যখন তিনি এমনি কোরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন তখন সেই নারীর মহিমা অপূৰ্ব্ব সম্পদে মহীয়সী হোয়ে কবিকে অপূৰ্ব্ব আকর্ষণে আকৃষ্ট করে, কবির যে দানে কবি নারীকে মহীয়সী কোরে তোলেন নারী তার সেই কাল্পনিক মহত্ত্বে কবির সম্মুপে নিজেকে মহিমাময়ী কোরে কবিকে আনন্দে পূর্ণ করে। যে দান কবি দিয়েছিলেন নারীকে তার কল্পনার মধ্য দিয়ে সেই সম্পদে নারী মহীয়সী হোয়ে তার আপন আকর্ষণের মহত্ত্বে কবিকে করেন পুরস্কৃত । “যে দান পেয়েছে তার বেশি দান ফিরে দিলে সে কবিরে । গোপনে জাগালে সুরের বেদন বাজে বীণা যে গভীরে।