পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨88 রবি-দীপিতা প্রিয়-হাত হতে পরে পুষ্পের হার, দয়িতের গলে করে তুমি আরবার দানের মাল্যদান । নিজেরে সপিলে প্রিয়ের মূল্যে করিয়া মূল্যবান ।” আদিতম কবিতাটিতে আমরা রবীন্দ্রনাথের চিরপরিচিত স্বরটি আবার নূতন করে শুনতে পাই। প্রাণের যে প্রথমতম কম্পন বনম্পতির মজ্জায় মজ্জায় তুলছে শিহরণ তাই জেগে ওঠে আমাদের শিরা তন্ত্রীতে এবং আমরা আমাদের সুগভীর চেতনার মধ্যে তার স্পর্শ পাই । “ঐ তরু ঐ লতা ওরা সবে মুখরিত কুসুমে ও পল্লবে— সেই মহাবাণীময় গহন মৌনতলে নিৰ্ব্বক স্থলে জলে শুনি মূক গুঞ্জন অগোচর চেতনার। ধরণীর ধূলি হোতে তারার সীমার কাছে কথা হারা যে ভুবন ব্যাপিয়াছে তার মাঝে নিই স্থান চেয়ে থাকা দুই চোখে বাজে ধ্বনিহীন গান ।” কবিকে আমরা জানিনা তথাপি তার বাণী আমাদের মনে নানারকমের নূতন ছবি একে দেয়, বিষাদ করুণ কোরে কবি বর্ণনা করেন বাদলার দিনকে, তাই— “বাদলছায়া হায়গো মরি বেদন দিয়ে তুলেছ ভরি নয়ন মম করিছে ছলো-ছলো, হিয়ার মাঝে কি কথা তুমি বল।” {