পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8 রবি-দীপিত সমস্ত পার্থিব সুখ সম্ভোগ, বিলাসবিলোল ক্ষুধাতুর ইন্দ্রিয়কে উদাম ভাবে উৎক্ষিপ্ত করে তুলেছে, আর সেই আকর্ষণে নাগলোকের মণিরেখার অনুসরণ ক’রে রাজা দুষ্যস্ত পাতালপুরীর গহবরের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছেন। এমন সময় তার আত্মার গোপন অন্তঃপুরে ঠিক এমনি করে প্রেমের সেই চির দেদীপ্যমান বৰ্ত্তিকাটি জলে উঠেছিল। রম্যাণি বীক্ষ্য মধুরাংশ্চ নিশম্য শব্দান পযু্যৎসুকীভবতি যং স্বপিতোহপি জন্তু । তচেতসা স্মরতি নুনমবোধপূৰ্ব্বং ভাবস্থিরাণি জনমান্তরসৌহৃদানি ॥ সুন্দর নেহারি, শুনি স্বমধুর গান উৎকণ্ঠায় শিহরে যে সুখতৃপ্তপ্রাণ । অজ্ঞাত মিলন স্মৃতি জন্মাস্তর হতে ছুটে যেন অনাহত বাসনার পথে । যখন ভোগের মধ্যে, বাহিরের বর্ণ গন্ধ গানের মধ্যে, লালসার মধ্যে, ইন্দ্রিয়ের মধ্যে আমরা ডুবে যেতে চাই, তখন চির আকাঙ্ক্ষাময় বিরাট প্রাণের মঙ্গল প্রদীপটি আরতির শিখায় মিগ্ধেজল হয়ে সীমার মধ্যে অসীমের অভিষেক সম্পাদন করে আমাদের জীবনকে সার্থক করে তোলে। প্রমাতৃচৈতন্য নিজে অসীম সেই জন্তেই, তার মুখ দিয়ে যে সীমার আস্বাদ পাওয়া যায় তাও অসীম হয়ে দাড়ায়। স্পর্শমণির সংযোগে লৌহধাতু স্বর্ণময় হয়ে উঠে। এ বোধটা একদিকে যেমন কতকটা psychological বা বৃত্তিগোচর, অপরদিকে ঠিক সেই পরিমাণে তাত্ত্বিক বা metaphysical । প্রমাতা ও বিষয় উভয়কে বাদ দিয়ে উদাসীন ভাবে দেখতে গেলে, একে সীমার সঙ্গে অসীমের মিলনের ফল বলা যেতে পারে ; প্রমাতার মধ্য দিয়ে দেখতে গেলে একেই বলে বৃত্তির মধ্যে তত্বের সাক্ষাং, এইখানেই আত্মা অজর ও অমর। এ প্রকাশ করবার