পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবি-দীপিতা وی 8ج পূর্ণ করে চুমকির কাজে, বিধে আলোকের স্বচি ; সে-রাত্রি অক্ষত থাকে, বিনা চিহ্নে আলো যায় ঘুচি সে ভাঙা যুগের পরে কবিতার অরণ্যলতায় ফুটিছে ছন্দের ফুল, দোলে তারা গানের কথায় । সেদিন আজিকে ছবি হৃদয়ের অজস্তা গুহাতে অন্ধকার ভিত্তিপটে, ঐক্য তার বিশ্ব-শিল্প সাথে ॥* হামলা কবিতাটিতে কবি এই কথাই বলতে চেয়েছেন যে আমরা যখন নি:স্তব্ধ প্রকৃতির দিকে তাকাই তখন তার মধ্য থেকে নানা স্বরের নানা ভাব যেন ক্রমশ: উদ্ধৃদ্ধ হোয়ে ওঠে, কোন অগীত সঙ্গীত যেন হিমালয়ের তপস্তাকে, নিঝরের বাণীহীন ধ্যানকে পুরাতন কত বিরহ স্মৃতিকে, পূর্ণ কোরে নিয়ে আসে প্রকৃতি তার পর্ণপুটে— “অতল গাম্ভীর্য নিয়ে তোমার মাঝারে হেরি যেন । শ্রাবণে অপরাজিতা, চেয়ে দেখি তারে অ্যাথি ডুবে যায় একেবারে— ছোট পত্রপুটে তার নীলিমা করেছে ভরপুর, দিগস্তের শৈলতটে অরণ্যের সুর বাজে তাহে, সেই দূর আকাশের বাণী এনেছে আমার চিত্তে তোমার নির্বাক মুখখানি ॥” প্রকৃতির মধ্যে যে শক্তিপুঞ্জ মৌন হয়ে রয়েছে হৃদয়ের গভীর পরিপূর্ণতায় আমরা তার আভাস পেতে পারি। নির্লিপ্ত বাক্যহীন অদূরতার বিশাল আকাশ যেন নিরস্তর আমাদের আকৃষ্ট করে । এই না-কওয়া, ন-চাওয়ার সাধনাতেই আমাদের শাস্তির সার্থকতা । আর একটি কবিতায় কবি র্তার মনের অাশা ও উদ্যমকে ওজস্বীভাবে প্রকাশ করতে গিয়ে বীৰ্য্যের ঘোষণা করেছেন। বলেছেন যে, যে ফুলভকে পাওয়া যাবে