পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীথিকা २8१ না তার জন্ত ব্যর্থ ঘুরাশায় তিনি নিজেকে প্রলুব্ধ কোরবেন না। ভিক্ষুকের মোহ থেকে নিজেকে মুক্ত কোরবেন। “জানিব মানিব নি:সংশয় দুল ভেরে মিলিবে না ; কবির কঠোর বীৰ্য্যে জয় ব্যর্থ দুরাশারে মোর। চির জন্ম দিব অভিশাপ দয়ারিক্ত দুৰ্গমেরে। আশাহারা বিচ্ছেদের তাপ দুঃসহ দাহনে তার দীপ্ত করি’ হানিব বিদ্রোহ অকিঞ্চন অদৃষ্টেরে, পুষিব না ভিক্ষুকের মোহ ।” বুদ্ধিতে যাহা আমরা বুঝিনা, প্রত্যক্ষে যাহা পাইনা, তাহারই স্পর্শ আমরা কাব্যে পাই । চৈতন্যকে বা চেতনাকে বাধাহীন, বন্ধহীন কোরে সমস্ত প্রাণের রহস্তলোক বিদ্যুতের ছায়ায় নানারূপের খেলার মধ্যে ঝলমল করে উঠে সেই প্রাণলোকের মানসী আকৃতিটি একে দেয়— “পাশ দেয় মুক্ত করি, বাধাহীন চৈতন্য এ মম নিঃশব্দে প্রবেশ করে নিখিলের সে অন্তরতম প্রাণের রহস্তলোকে, যেখানে বিদ্যুৎ স্থম্মছায়া করিছে রূপের খেলা, পরিতেছে ক্ষণিকের কায়া, আবার ত্যজিয়া দেহ ধরিতেছে মানসী আকৃতি, সেই তো কবির কাব্য সেই তো তোমার কণ্ঠে গীতি।” প্রকৃতির প্রতি গভীর ভালবাসা প্রকাশ কোরতে গিয়ে কবি বলছেন,— “বেসেছি ভালো এই ধরারে মুগ্ধ চোখে দেখেছি তারে ফুলের দিনে দিয়েছি রচি’ গান।