পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীথিক *8వ বিস্ময় লাগে আশাতীত সেই দানে, ক্ষীণ সৌরভে ক্ষণ-গৌরব আনে। বরণমাল্য হয় না তাহাতে গাথা ।” এই ভাবটিই আরও স্পষ্ট কোরে কবি বলেছেন তার ক্ষণিক কবিতাটিতে। ' প্রকৃতির ধারা চলেছে অজস্রভাবে স্রোতের প্রবাহে। আমরা কেবলমাত্র তার থেকে দু-এক অঞ্জলি গ্রহণ কোরতে পারি— “বিস্মৃতি-পটে চিরবিচিত্র ছবি লিথিয়া চলেছে ছায়া-আলোকের কবি । হাসি-কান্নার নিত্য ভাসান-খেলা বহিয়া চলেছে বিধাতার অবহেলা । নহে সে কুপণ, রাখিতে যতন নাই, খেলাপথে তার বিঘ্ন জমে ন তাই । মানো সেই লীলা, যাহা যায় যাহা আসে পথ ছাড়ো তা’রে অকাতরে অনায়াসে, আছে তবু নাই, তাই নাহি তা’র ভার, ছেড়ে যেতে হবে, তাই তো মূল্য তার। স্বৰ্গ হইতে যে স্থধা নিত্য ঝরে সে শুধু পথের, নহে সে ঘরের তরে। তুমি ভরি লবে ক্ষণিকের অঞ্জলি, স্রোতের প্রবাহ চিরদিন যাবে চলি ॥” রূপকার কবিতাটীতে কবি বলছেন যে আমাদের অস্তরের মধ্যের অন্তৰ্য্যামী শিল্পী নানা দুঃখ ও দাবদাহনের মধ্য দিয়ে আমাদের ষে অস্তরের স্বরূপটি গড়ে তুলছেন তার পরিচয় কেহই জানে না, সে গড়ার কাজ চলে তার আপন প্রয়োজনে, আপন মহিমায়, তার কোন বাইরের উদেখ নেই। সেই রূপকারের থষ্ট আমাদের অস্তরের রূপ বাহিরের জগতে আপনার প্রতিচ্ছবি দেখে থাকে—