পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীথিক ২৫৩ সহজে আমি মানিব অবসান, ভাবী শিশুর জনম মাঝে নিজেরে দিব দান।” অনেকগুলি ছোট ছোট কবিতায় কবি ছোট ছোট কতগুলি impression বা ভাব অতি সুন্দরভাবে একেছেন । “অন্তরতম” কবিতাটিতে তিনি এই কথাই বলতে চেয়েছেন যে অতি সামান্ত বিষয় অবলম্বন কোরে আমাদের মনে যে আকাঙ্ক্ষা জন্মে তারও একটা গভীর স্থান আছে আমাদের হৃদয়ের মধ্যে, অথচ সে আকাজক্ষাকে কাব্যেব স্বপ্নছাড়া অন্তভাবে ব্যক্ত করা যায় না— “যে পাওয়া শুধু রক্তে নাচে, স্বপ্নে যাহা গাথা, ছন্দে যার হোল আসন পাতা খ্যাতি-স্মৃতির পাষাণপটে রাখে ন যাহা রেখা ফাল্গুনের সাজতারায় কাহিনী যার লেখা, সে ভাষা মোর বঁাশিই শুধু জানে,— এই যা দান গিয়েছে মিশে গভীরতর প্রাণে, করিনি তার আশা, যাহার লাগি বাধিনি কোন বাসা , বাহিরে যার নাইকে ভার যায়না দেখা যারে বেদন তারি ব্যাপিয়া মোর নিখিল আপনারে ।” বনস্পতি সম্বন্ধে যে দুটি কবিতা বীথিকায় পাওয়া যায় তা বনবাণীরই প্রতিধ্বনি। সন্ন্যাসী কবিতাটিতে নানা বিক্ষোভের মধ্যে নানা চঞ্চলতার মধ্যে প্রকৃতির যে একটী অনাসক্ত রূপ আছে, সেইটিকে কবি আমাদের চোখের সামনে ধরতে চেষ্টা করেছেন— “এদের প্রশ্রয় দিলে, তাই যত দুৰ্দ্দামের দল চরাচর ঘেরি’ ঘেরি করিছে উন্মত্ত কোলাহল সমুদ্রতরঙ্গ তালে, অরণ্যের দোলে, যৌবনের উদ্বেল কল্লোলে ।