পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९¢8 রবি-দীপিত আনে চাঞ্চল্যের অর্ঘ্য নিরস্তব তব শাস্তি নাশি’ এই তো তোমার পূজা, জানো তাহ হে ধীর সন্ন্যাসী ॥” হরিণী কবিতাটিতে অজ্ঞাত ও অদৃশ্বের জন্য যে আমাদের চিত্তে একটি অন্বেষণের ক্ষুধা সদা জাগ্রত আছে তারি একটি সুন্দর ছবি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। “বাধা” কবিতাটিতে কবি এই কথাই বলেছেন যে আমরা আমাদের প্রিয়জনকে কি শ্ৰীভগবানকে আমাদের সম্পূর্ণ সত্তা নিবেদন করতে চাইলেও আমাদের অন্তরের বাধায় আমরা আমাদের মুক্ত করে দিতে পারি না। “লও, লও, যত বলে, খোলে না যে র্তা’র হৃদয়ের দ্বার । সারাদিন মন্দিরা বাজায়ে করে গান,— লও, তুমি লও, ভগবান।” আমাদের চিত্তের মধ্যে একটা দেশটানা সুর আছে । একটা টানে বাহিরের দিকে মুক্তির দিকে, আর একটা টানে ঘরের দিকে বাধনের দিকে। যতদূরে যেতে চাই বাধনেরই ডাক শুনি, যত সম্মুখে যেতে চাই ততই কে যেন পিছনে টানে— “ব ধনে বাধনে টানি’ রচিলে আসন খানি দেখি তোমার আপন স্বষ্টি তাই । শূন্ততা ছাড়ি সুন্দবে তব আমার মুক্তি চাই।” “কলুষিত” কবিতাটিতে কবি দেগিয়েছেন যে, নগরী তার কঠিন পাষাণের আবরণের মধ্যে থেকে প্রকৃতির আশীৰ্ব্বাদ পায় না এবং মলিন অশুচিতায় আপনাকে খিন্ন করে। অপরদিকে নগরের মধ্যে আমরা দেখতে পাই দ্বেষ, ঈর্ষ। ও কুৎসার কালুর্য্য— “দ্বেষ ঈর্ষা কুৎসার কলুষে অলোহীন অস্তরের গুহাতলে হেথা রাখে পুষে’ ইতরের অহঙ্কার ; গোপন দংশন তার }