পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্রপুট २¢१ তারপর কবি নেমে এলেন দ্বিতীয় যুগে। তখন জড়ের ঔদ্ধত্য হোয়ে এল অভিভূত ; জীব ধাত্রী বসলেন শ্যামল আস্তরণ পেতে ; কিন্তু তবু সেই আদিম বৰ্ব্বর রইল পৃথিবীকে আঁকড়ে । তার তাড়নায় পৃথিবী আপন জীবনকে কোরছে আঘাত, ছারখার কোরছে আপন স্বষ্টিকে ; শুভ-অশুভের চললো সংগ্রাম ; বিরাট প্রাণের সঙ্গে এল বিরাট মৃত্যু। একদিকে পৃথিবী মুন্দরী অপর দিকে তিনি ভয়ঙ্কর’— “অচল অবরোধে আবদ্ধ পৃথিবী, মেঘলোকে উধাও পৃথিবী, গিরি শৃঙ্গমালার মহৎ মৌনে ধ্যানমগ্ন পৃথিবী, নীলাম্বুরাশির অতন্দ্রতরঙ্গে কলমন্ত্রমুখরা পৃথিবী অন্নপূর্ণ তুমি মুন্দরী, অল্পরিক্ত তুমি ভীষণা। একদিকে অপক্ক ধানভার নম্র তোমার শস্ত্য ক্ষেত্র, সেখানে প্রসন্ন প্রভাত স্বৰ্ষ্য প্রতিদিন মুছে নেয় শিশিরবিন্দু কিরণ উত্তরীয় বুলিয়ে দিয়ে । অস্তগামী সূর্য্য শু্যামশশুহিল্লোলে রেখে যায় অকথিত এই বাণী— ‘আমি আনন্দিত |’ অন্যদিকে তোমার জলহীন ফলহীন আতঙ্ক পাণ্ডুর মরু ক্ষেত্রে পরিকীর্ণ পশুকঙ্কালের মধ্যে মরীচিকার প্রেতনুত্য । বৈশাখে দেখেছি বিদ্যুৎচঞ্চুবিদ্ধ দিগন্তকে ছিনিয়ে নিতে এল কালে শুেন পাখির মতো তোমার ঝড়, সমস্ত আকাশটা ডেকে উঠলো যেন কেশর-ফোল সিংহ ।” আবার ফাঙ্কনে আতপ্ত দক্ষিণ বায়ুতে আম্র মুকুলের গন্ধে তিনি দেখেছেন প্রকৃতির কোমল রূপ। তাই তিনি পৃথিবীকে বলছেন— "স্নিগ্ধ তুমি, হিংস্ৰ তুমি, পুরাতনী, তুমি নিত্য নবীন, অনাদি স্বষ্টির যজ্ঞ হতাগ্নি থেকে বেরিয়ে এসেছিলে ংখ্যা গণনার অতীত প্রত্যুযে, S a