পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্রপুট ՀՓ> করি তখন আমাদের চেতনার মধ্যে যে সমস্ত ছবি ফুটে ওঠে তা বিশ্বছবিরই অন্তর্গত, চেতনার মধ্যে আমরা বাহিরের ষে রূপ গ্রহণ করি চেতনার বিচিত্রতার মধ্যে আমরা সেই রূপ আবার দিই বিশ্বকে ফিরিয়ে। এমনি ভিতর ও বাহিরের দুই দিকের ছবি নিয়েই বিশ্বের ছধি— “গ্রহণ করাও ফিরিয়ে দেওয়ার রূপাস্তর, হষ্টির ঝরণা বেয়ে যে রস নামছে আকাশে আকাশে তাকে মেনে নিয়েছি আমার দেহে মনে । সেই রঙিন ধারায় আমার জীবনে রং লেগেছে যেমন লেগেছে ধানের ক্ষেতে, যেমন লেগেছে বনের পাতায়, যেমন লেগেছে শরতে বিবাগী মেঘের উত্তরীয়ে, এরা সবাই মিলে পূর্ণ করেছে আজকে দিনের বিশ্বছবি। যে গভীর অনুভূতিতে নিবিড় হোলো চিত্ত সমস্ত হষ্টির অস্তরে তাকে দিয়েছি বিস্তীর্ণ ক’রে । ঐ চাদ ঐ তারা ঐ তম:পুস্ত্রী গাছগুলি এক হোলো, বিরাট হোলো, সম্পূর্ণ হোলো আমার চেতনায় ।” অষ্টম কবিতাটিতে কবি বলছেন যে প্রতি নিমেষে পৃথিবীর বৃহং ইতিহাস যে ক্রমশঃ চলেছে উদঘাটিত হোয়ে তার এক পৃষ্ঠা থেকে অন্য পৃষ্ঠায় দৃষ্টি চলে না, বিলম্বিত তানের তরঙ্গের মত শতাব্দীর পর শতাব্দী চলেছে স্রোতে ভেসে । সে ধারায় কত শৈলশ্রেণী উঠেছে নেমেছে ৷ সাগরে মরুতে কত বেশ পরিবর্তন হোয়েছে, সেই নিরবধি কালেরই দীর্ঘ প্রবাহে এগিয়ে এসেছে একটি ছোট ফুলের আদিম সঙ্কল্প, স্বষ্টির ঘাত-প্রতিঘাতে ।