পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬০ রবি-দীপিত “লক্ষ লক্ষ বৎসর এই ফুলের ফোট ঝরার পথে সেই পুরাতন সঙ্কল্প রয়েছে নূতন, রয়েছে সজীব সচল, ওর শেষ সমাপ্ত ছবি আজও দেয়নি দেখা, এই দেহহীন সংকল্প, সেই রেখাহীন ছবি নিত্য হোয়ে আছে কোন অদৃশ্বের ধ্যানে । যে অদৃশ্বের অন্তহীন কল্পনায় আমি আছি, যে অদৃশ্য বিধৃত সকল মানুষের ইতিহাস অতীতে ভবিষ্ণুতে ॥” দশম কবিতাটিতে কবি বলছেন যে আমাদের এই দেহটা দীর্ঘকাল ধরে রাগ দ্বেষ, ভয় ভাবনা ও কামনা প্রভৃতির অাবজ্জনারাশি বহন কোরে আনছে । এর পঙ্কিল আবরণে আমাদের আত্মার মুক্ত রূপ আবৃত হয়। সত্যের মুখোস পরে এই সত্যকে আড়াল কোরে রাখা, মৃত্যুর কাদামাটি দিয়ে গড়ে আপনার পুতুল; ছতিনিদার বাপ বুদ্ধদে পাক খেয়ে ফেরে হাসি কান্নার আবৰ্ত্তে। কিন্তু যদি কখনো আমরা দেহটাকে মনের থেকে সরিয়ে ফেলে প্রভাত সূর্য্যের সামনে দাড়াই তবে যেন মনে হয় আমাদের অন্তরতম সত্য আমাদের কল্যাণতম রূপ আমাদের কাছে স্ফুৰ্ত্ত হয়। আমাদের নানা ইন্দ্রিয় দিয়ে আমরা প্রতিক্ষণে আমাদের চারিদিকের বিশ্বের নানা রস গ্রহণ করে থাকি, যেমন গ্রহণ করে বনস্পতিরা তাদের পল্লব স্তরকে আলোর ধারা, নানা ঘাতে প্রতিঘাতে সংক্ষুব্ধ হয় আমাদের হৃদয় ; আমাদের সমস্ত চিত্তকে তা দেয় নাড়া, বিশ্বভুবনের সমস্ত ঐশ্বৰ্য্যের সঙ্গে আমাদের এই মনোবৃক্ষের ছড়িয়ে পড়া রসলোলুপ পাতাগুলির সংবেদনে ঘনিষ্ঠ হোয়ে ওঠে আমাদের যোগ — “যে রূপের দ্বিতীয় নেই কোনোথানে কোনোকালে, তাকে রেখে দিয়ে যাব কোন গুণীর কোন রসজ্ঞের দৃষ্টির সম্মুখে,