পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কড়ি ও কোমল S(t ভোগের ভাষার মধ্যে দিয়ে প্রকাশ হচ্ছে। সেখানে প্রাকৃত ভোগ শুধু কথার কথা মাত্র, অপ্রাকৃত ভোগই সেখানে বাস্তবিক তথ্য। রবীন্দ্রনাথের কিন্তু তা নয় । সেখানে প্রাকৃত ভোগ নিয়েই আরম্ভ, ভক্তি বা কৃষ্ণ প্রেম নিয়ে আরম্ভ নয়। কিন্তু প্রাকৃত ভোগটা শুধু প্রাকৃত হ’য়েই স্থির হয়ে থাকে নি! সেট খালি অনবরত ঘুরপাক খেয়েছে এবং এই ঘুর্ণর ফলে প্রাকৃত ভোগের মধ্যে দিয়ে একটা অপ্রাকৃত ভোগের আস্বাদ জেগে উঠেছে এবং তার ফলে প্রাকৃত ভোগের প্রতি একটা বিরাগ এসেছে ও এই উভয়ের পরস্পরসন্নিবেশে রবীন্দ্রনাথের চিত্ত ধীরে ধীরে ভোগাতীতের সন্ধানে পাড়ি দেবার উদ্যোগ করেছে । মানসীর অব্যবহিত পূৰ্ব্বস্তরে, কড়ি ও কোমলে আমরা তাই দেখতে পাই যে কবির চিত্ত ভোগময় সৌন্দর্ঘ্যে গাঢ়ভাবে আচ্ছন্ন হয়ে মূঢ় অনুসন্ধানে বহির্গত হ’য়ে কেমন ধীরে ধীরে আপন অজ্ঞাতে একটি অমৃত উৎসের নিকটবর্তী হয়ে আসছে। ধৰ্ম্মকে নিয়ে তিনি আরম্ভ করেন নাই, কোনও কাব্যের theory বা মত নিয়ে তিনি আরম্ভ করেন নাই, তিনি আরম্ভ করেছেন এই পরিদৃশ্যমান পৃথিবীর প্রতি একটা ঐকান্তিক গাঢ় অনুরাগ নিয়ে। প্রকৃতির প্রতি এই গাঢ় অনুরাগকেই একমাত্র সম্বল ক’রে তিনি সংসারে সৌন্দর্য্যের সাধনায় প্রবৃত্ত হয়েছেন । একেবারে স্থলকে ক্ষুদ্রকে নিয়ে তিনি আরম্ভ করেছেন। কড়ি ও কোমলের রক্কে রন্ধে হংসপদিকার যে “অহিনঅমহুলোলুব” উচ্ছসিত হ’য়ে উঠেছিল তারই মধ্য দিয়ে জন্মজন্মান্তরের অস্পষ্ট প্রতিভাস প্রমুষ্টছায়া মানসী মূৰ্ত্তির রাগিণী শুনতে পেয়ে সমস্ত মুখস্থপ্তির মধ্যে কবিসম্রাট পযুfংসুক হয়ে উঠলেন ।