পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭৮ রবি-দীপিতা কর্ণধার কবিতাটিতেও কবি অনুভব কোরছেন যে তার অন্তৰ্য্যামী পুরুষ তার জীবন-তরীকে মৃত্যুর মধ্য দিয়ে কোন স্থদুরলোকে নিয়ে যাবে।— “বক্ষে যবে বাজে মরণ ভেরী ঘুচিয়ে ত্বরা ঘুচিয়ে সকল দেরি প্রাণের সীমা মৃত্যু-সীমায় সূক্ষ্ম হয়ে মিলায়ে যায়, উৰ্দ্ধে তখন পাল তুলে দাও অস্তিম যাত্রার । ব্যক্ত করো, হে মোর কর্ণধার আশধারহীন অচিন্ত্য সে অসীম অন্ধকার ॥” “জ্যোতির্বাপ” কবিতাটিতেও খানিকট এই ভাবই প্রকাশ পেয়েছে। স্পষ্টভাবে আমরা জীবনে যা পাই তার চেয়েও বড় হোয়ে আমাদের মধ্যে কাজ কোরছে আমাদের যে ভাগ রয়েছে আমাদের মধ্যে অস্পষ্ট হোয়ে। শিল্পীর একটা সঙ্কেত যেন আমাদের গোপন মনের মধ্যে রয়েছে ; তাকে সহজে জানা যায় না। সে যেন আমাদের দূরে সরিয়ে রাখে— “অনন্তের সমুদ্র মন্থনে গভীর রহস্য হোতে তুমি এলে আমার জীবনে। উঠিয়াছ অতলের অস্পষ্টত খানি আপনার চারিদিকে টানি । নীহারিকা বহে যথা কেন্দ্রে তার নক্ষত্রেরে ঘেরি, জ্যোতির্ময় বাষ্পমাঝে দূর বিন্দু তারাটিরে হেরি। তোমা মাঝে শিল্পী তার রেখে গেছে তজ্জনীর মানা সব নহে জানা ।