পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্মদিনে ३४** অন্তরের ছবির চরম পরিচয় কখনই তাকে পূর্ণ প্রকাশ দিতে পারে না। ব্যক্ত একটি জীবনের চারিদিকে বিস্তৃত হোয়ে রয়েছে বিরাট অব্যক্ত— “এখন হয়নি খোলা আমার জীবন-আবরণ, সম্পূর্ণ যে আমি রয়েছে আপন অগোচর । নব নব জন্মদিনে যে রেখা পড়িবে অাকা শিল্পীর তুলির টানে টানে ফোটেনি তাহার মাঝে ছবির চরম পরিচয় । শুধু করি অনুভব চারিদিকে অব্যক্তের বিরাট প্লাবন বেষ্টন করিয়া দিবস রাত্রিরে।” অনেক জন্মদিনে গাথা এই জীবনটি এমন একটি দিনে এসে ঠেকে যখন মরণের ডাকে এই প্রতিদিনের চিহ্নিত জন্মদিনগুলি একটি অখণ্ড কালের পর্য্যায়ের মধ্যে মিশে যায় । সেদিনের কোনো স্মৃতিতে কোনো অরণ্যের মৰ্ম্মরের গুঞ্জরণ থাকে না । পুষ্প-বাথিকার ছায়া সেখানে তার পাখা মেলে না। উৎসবের আনন্দ সমান ভাবেই পৃথিবীতে চলে কিন্তু যে গেল তার বিচ্ছেদের বেদন কোথাও জাগ্রত হোয়ে থাকবে ন!— ‘জানি জন্মদিন এক অধিচ্ছিন্ন দিনে ঠেকিবে এমনি, মিলে যাবে অচিহ্নিত কালের পর্য্যায়ে । পুষ্প-বীথিকার ছায় এ বিষাদে করে না করুণ, বাজে না স্মৃতির ব্যথা অরণ্যের মর্মরে গুঞ্জনে । নির্মম আনন্দ এই উৎসবের বাজাইবে বঁাশি বিচ্ছেদের বেদনারে পথপাশ্বে ঠেলিয়া ফেলিয়া।” আবার দেখা যায় যে এই বিরাট স্পন্দনস্রোতকে অবলম্বন কোরে কবির চিত্ত ষে