পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&bbr. রবি-দীপিতা একটানা একদিকে ছুটে চলেছিল কদাচিৎ তার ব্যত্যয় হোয়ে তিনি তার পূর্ব জীবনে উপনিষদের সংস্কারের দিক দিয়ে সংসারকে বুঝতে চেষ্টা কোরেছেন। একটি কবিতায় তিনি বলছেন যে, তিনি চলেছেন সেই নামহীন সৰ্ব্ববিশেষণহীন মহাসত্তার মধ্যে। তার ক্ষুদ্র চৈতন্য পরিপূর্ণ চৈতন্তের সাগর সংগমে মিলিত হবে ; তখন এই বাহ আবরণের কি গতি হবে । সে কি কালস্রোতের রূপান্তরে ভেসে বেড়াবে—তার খবর তিনি জানেন না— “বার বার মনে মনে বলিতেছি, আমি চলিলাম যেথা নাই নাম, যেখানে পেয়েছে লয় সকল বিশেষ পরিচয়, নাই আর আছে এক হেণয়ে যেথা মিশিয়াছে। যেখানে অখণ্ড দিন আলোহীন অন্ধকারহীন । আমার আমির ধারা মিলে যেথা যাবে ক্রমে ক্রমে পরিপূর্ণ চৈতন্তের সাগর সংগমে । এই বাহ আবরণ জানি নাতো শেষে নানারূপে রূপান্তরে কালস্রোতে বেড়াবে কি ভেসে । আপন স্বাতন্ত্র্য হতে নিঃসক্ত দেখিব তারে আমি বাহিরে বছর সাথে জড়িত অজানা তীর্থগামী ।” আবার আর একটি কবিতায় তিনি বলছেন-— “কালের প্রবল আবর্তে প্রতিহত ফেনপুঞ্জের মতে, আলোকে অ’াধারে রঞ্জিত এই মায়া, অদেহ ধরিল কায়া ।