পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯২ রবি-দীপিত মৃত্যুই যার অস্তরে, যাহা রেখে যায় শুধু ফাক । যাক এ জীবন পুঞ্জিত তার জঞ্জাল নিয়ে যাক । টুকরো যা থাকে ভাঙা পেয়ালার, ফুটে সেতারের স্বরহীরা তার, শিখা-নিবে-যাওয়া বাতি, স্বপ্ন-শেষের ক্লাস্তি বোঝাই রাতি ;– নিয়ে যাক যত দিনে দিনে জমা করা প্রবঞ্চনীয় ভরা নিষ্ফলতার সযত্ন সঞ্চয় । কুড়ায়ে ঝাটায়ে মুছে নিয়ে যাক, নিয়ে যাক শেষ করি’ ভাটার স্রোতের শেষ-খেয়া দেওয়া তরী। অসীম আকাশে যে প্রাণ-কাপন অসীম কালের বুকে থাকে অবিরাম, তাহারি বারতা শুনেছি ওদের মুখে । যে মন্ত্রখানি পেয়েছি ওদের স্বরে তাহার অর্থ মৃত্যুর সীমা ছাড়ায়ে গিয়েছে দুরে। সেই সত্যেরি ছবি তিমির প্রাস্তে চিত্তে আমার এনেছে প্রভাত-রবি । সে রবিরে চেয়ে কবির সে বাণী আসে অস্তরে নামি’— ‘ষে আমি রয়েছে তোমার আমার সে অামি আমারি আমি” সে অামি সকল কালে, সে আমি সকল খানে, প্রেমের পরশে যে অসীম আমি বেজে ওঠে মোর গানে ৷”